বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি ছিল একাত্তরের গণহত্যার মূল কেন্দ্র: উপাচার্য

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:৪৪

ঢাবি উপাচার্য বলেন- নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস সচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদাররা এ দেশের দোসরদের নিয়ে জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘এ দেশের বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও বর্বর গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। তারা সব অন্যায়, অপকর্ম ও বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। নিজ নিজ পেশায় তারা ছিলেন প্রথিতযশা।

এ অবস্থায় জাতিকে মেধাশূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল গণহত্যার মূলকেন্দ্র।’

বুধবার ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।উপাচার্য আরও বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের নৃশংস গণহত্যার নজির নেই। দেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা এই গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস সচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে নিচ্ছেন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘জাতির পিতা ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত যে সব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এ কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’

উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শনের আলোকে উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

এদিকে দিবসটি পালনে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণের কবরস্থান, জগন্নাথ হলের স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর