তিন বছর আগে নওগাঁয় কর্মরত এক বিচারক বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হন। ওই ঘটনায় করা মামলায় প্রতারণার অভিযোগে বিকাশের এক কর্মকর্তাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় পিবিআই নওগাঁ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি উপজেলার কমলাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই জন ফরিদপুর জেলা সদরের শর্ট রোড উত্তর কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা জুয়েল খান ও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মিল্টন বিশ্বাস।
গ্রেপ্তার জুয়েল খান ফরিদপুর বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৯ সালে নওগাঁয় কর্মরত একজন বিচারকের ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতারক চক্র দুই দফায় ৭৯ হাজার ৯৮৩ টাকা আত্মসাৎ করে নেয়।
এ ঘটনায় ওই বিচারকের অফিস সহকারী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ নওগাঁ সদর মডেল থানায় দণ্ডবিধি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে মামলাটি তদন্ত করে মূল রহস্য উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়। পরে উচ্চ আদালত মামলাটির নথি পর্যালোচনা করে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।
মামলা গ্রহণের পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রের মূল হোতা বিকাশ কর্মকর্তা জুয়েল খানসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে নওগাঁর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নয়মুল হাসান বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট হতে গ্রাহকদের বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করে কৌশলে পিন নম্বর সংগ্রহ করে নিতেন। পিন নম্বর পাওয়ার পর তারা ওই সব গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ক্যাশআউট করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
তিনি আরও জানান, আসামিদের আদালতে নেওয়া হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।