বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: ৫০ বছর পর পাবে কি আওয়ামী লীগ?

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৪৪

১৯৭৩ সালের পর থেকে নৌকা জিততে পারেনি আসনটিতে। ২০০৮ সাল থেকে তিনটি জাতীয় নির্বাচনের দুইবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয় পান। তবে গত জাতীয় নির্বাচনে সেখানে জয় পান বিএনপির উকিল আবদুস সাত্তার। মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী ভোটই পাননি। আওয়ামী লীগের এক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেন বিএনপি নেতার। সেই সঙ্গে আগের দুই নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ে উল্লেখযোগ্য ভোট পান।

প্রায় ৫০ বছর ধরে অধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন নিজেদের দখলে নিতে এবার আশাবাদী হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির নেতা উকিল আবদুস সাত্তার দলের অন্য সংসদ সদস্যদের মতো পদত্যাগ করার পর ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটই জিতেছিল। তবে সেই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিল না, মহাজোটের সমর্থন পান জাতীয় পার্টির জিয়াউল হক মৃধা এবং তিনি সহজ জয়ই পান। ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী ফজলুল হক আমিনীকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে উড়িয়ে দেন।

পরের দুই নির্বাচনেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা করে আসনটি ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তবে গত নির্বাচনে দলের স্থানীয় এক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিএনপি বিজয়ী নেতার কাছে অল্প ভোটে হেরে যান।

সেই নেতা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন। সেই নির্বাচনে আগের দুইবারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা মহাজোটের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৩৯ হাজারের বেশি ভোট পান। বিএনপির বাইরে দুইজনের ভোট এক বাক্সে পড়লে জয়ী হতে পারতেন সেই প্রার্থীই।

সেই নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা পান কেবল ২৭৯ ভোট।

মঈন চাইছেন, এবার আওয়ামী লীগ এখানে প্রার্থী দিক। নৌকা নিয়ে তিনিই হতে চান সেই প্রার্থী। বলেন, ‘১৯৭৩ সালের পর এখানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন যেন এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এতে পিছিয়ে পড়া এলাকা এগিয়ে যাবে।’

পাঁচবারের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার পদত্যাগ করার পর আসনটিতে আবার আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে সমঝোতা হয় নাকি দুই দলই সেখানে আলাদা প্রার্থী দেয়, তার ওপর নির্ভর করছে, যারা পাবে জয়।

শূন্য ঘোষিত আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তারা এত দেরি করবে না। দ্রুতই ঘোষণা হবে তফসিল।

জাতীয় সংসদের প্রধান দুই দল ছাড়াও ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)ও নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী।

উপনির্বাচনের জন্য যাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছে তাদের মধ্যে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ধর্মভিত্তিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর জুনায়েদ আল হাবীব।

আরও আগ্রহী জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ঈসা খান, মহিউদ্দিন মোল্লা, জাকির হোসেন, জামিলুল হক বকুল, শাহ্ মফিজ, মোখলেছুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন ।

সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন। সরাইল উপজেলায় প্রায় দুই লাখ এবং আশুগঞ্জে প্রায় এক লাখ ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৫ জন, নারী ১ লাখ ৬২ হাজার ৮২৭ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একাধিকবার জাতীয় পার্টি ওই আসন থেকে পাস করার পর সেখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী জামানত হারান। বিএনপি প্রার্থী পাস করেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাস না করায় সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা একেবারেই উন্নয়ন বঞ্চিত। এসব কারণে আমরা চাই এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসুক। তবে যদি কেন্দ্রীয়ভাবে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত হয় তাহলে ভিন্ন বিষয়।’

এ বিভাগের আরো খবর