রাজধানীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে আবার জামিন আবেদন করা হয়েছে।
দুই দফা জামিন আবেদন নাকচের পর বুধবার তৃতীয় এই আবেদনটি করা হয় ঢাকা মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে। এরপর বৃহস্পতিবার শুনানির দিন নির্ধারিত হয়।
পুলিশের অনুমতি না পাওয়ার পরও গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভাগীয় সমাবেশটি নয়াপল্টনেই করার ঘোষণা আসে। ৭ ডিসেম্বর মির্জা আব্বাস সংবাদ সম্মেলনটি করার পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এতে একজন নিহত ছাড়াও আহত হন বেশ কয়েকজন। এক পর্যায়ে পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ১৫টি ককটেল উদ্ধারের কথাও জানানো হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করে পল্টন মডেল থানায়, মতিঝিল এবং শাহজাহানপুর থানায় আলাদা মামলা হয়।
সেই সংঘর্ষের পরদিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার সংবাদ সম্মেলনে এসে জানান, তারা নয়াপল্টনেই সমাবেশটি করবেন, বাধা দিলে ব্যবস্থা নেবে জনগণ। সেই রাতেই তাকে এবং আব্বাসকে আটক করে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
৯ ডিসেম্বর দুই নেতাকে আদালতে তোলা হলে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম।বিএনপির সমাবেশের দুই দিন পর সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শফিউদ্দিনের আদালতে আবার জামিন আবেদন করা হয়। বিএনপির এই দুই নেতার পাশাপাশি আরও ২২২ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে।
তারও পরদিন রাজধানীতে নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করে বিএনপি।