পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
৫৫ বছর বয়সী সোলায়মান আলীর বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘী এলাকায়।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। মাদকাসক্তও ছিলেন। তার হৃদরোগের অবস্থার সঙ্গে কিছু জরুরি সেবা দরকার ছিল, যেটি আমাদের হাসপাতালে ছিল না। ভোরে তিনি মারা যান।’
তিনি জানান, বর্তমানে সোলায়মান আলীর মরদেহ হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ কক্ষে কারা পুলিশ প্রহারায় রয়েছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর জমি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার মামলায় সোলেমানের এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে ওইদিনই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সোলায়মানকে পঞ্চগড়ে জেলা কারাগারে নেয়া হয়। এ সময় সোলায়মান জেলগেটেই অসুস্থবোধ করলে কারাগারের চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
পঞ্চগড় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার খন্দকার মামুন বলেন, ‘তাকে আদালত থেকে কারাফটকে আনার পরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আমরা তাকে পঞ্চগড় আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। দুইদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর আজ মারা যান তিনি।’
এদিকে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা বেলা ১১টার দিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে মৃত্যুর তথ্য নিতে যায়। এ সময় হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ কক্ষে প্রবেশ এবং মৃতের ছবি তুলতে বাধা দেয়।
কেন ছবি তোলা যাবেনা এমন প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘জেল সুপার বদরুদ্দোজা সারের সঙ্গে আপনারা কথা বলেন। উনি নির্দেশনা দিয়েছেন এখানে যাতে কেউ লাশের ছবি না তুলেন ।