বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই এখন বিএনপির নেতা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বুধবার সকালে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনসহ আরও কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিরা যখন বুঝতে পারে তাদের পরাজয় আসন্ন তখন যে জাতি স্বাধীন হতে যাচ্ছে সে জাতিকে পঙ্গু করার লক্ষ্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল জামায়াতে ইসলামী ও আলবদরের নেতৃত্বে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেই জামায়াতে ইসলামী, আলবদরের নেতারা এখন বিএনপির প্রধান সহযোগী। বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই এখন বিএনপির নেতা। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার প্রক্রিয়াটা শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর, সেদিন সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনসহ অনেককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিনই বিএনপি ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছিল, যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি আসলে তাদের পাকিস্তান প্রীতি, পাকিস্তানের প্রতি অনুরাগ, তারা বারবার প্রকাশ করেছে। যেমন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন পাকিস্তানই ভালো ছিল। এ ধরনের যারা স্বাধীনতাবিরোধী তাদের লালনপালন করছে বিএনপি নেতারা। আশা করছি জনগণের কাছ থেকে তারা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।’