বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পর আরও পাঁচ নেতাকে কারাগারে ডিভিশনের সুবিধা দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনকারী পাঁচজন হলেন-আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও বরিশালের আবুল হোসেন।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বুধবার এ আবেদনের বিষয়টি জানান।
কায়সার কামাল জানান, এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেছেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
সকালে সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসের সঙ্গে আরও পাঁচজনের পক্ষে কারাগারে ডিভিশন সুবিধা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করা হয়। পরে ওই আবেদন শুনে আদালত বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রাখে।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে আদালতকে বলেন।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেয়া হচ্ছে বলে আদালতকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আদালত আজ আদেশের জন্য রাখে।
মির্জা ফখরুল ইসলামের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস মঙ্গলবার হাইকোর্টে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন।
আদালতে বিএনপি নেতাদের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিমসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পল্টন থানার মামলায় ৮ ডিসেম্বর রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এরপর ৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয় খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৪৫০ জনকে। পরে জামিন নামঞ্জুর করে ৪৪৫ জনকে কারাগারে পাঠায় আদালত।