রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সব স্তরের মানুষ।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসতে শুরু করেন।
রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি চোখে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ব্যানারে তারা এসেছেন শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে স্বাধীনতার মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের সেরা সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
লালমাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষার্থী সুপ্রিয়া অধিকারী বলেন, ‘আজকের দিনে পাকিস্তানিরা আমাদের দেশের সূর্য সন্তানদের হত্যা করেছিল। তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনেই আমাদের মেধাশূন্য করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড চালায়। শহীদদের স্মরণে আজ রায়েরবাজার বদ্ধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে অনেকে এসেছেন পরিবারের সঙ্গে। কামাল উদ্দিন এসেছেন দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পরিবার নিয়ে এসেছি। সন্তানদের জানতে হবে শহীদদের কথা। প্রতি বছর সন্তানদের নিয়ে এখানে আসি।’
শহীদদের সন্তানেরাও এসেছেন তাদের প্রিয়জনকে শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের দাবি, জামায়াত-শিবির বিভিন্ন নামে জাতীয় নির্বাচন করতে নিবন্ধন চায়। তাদের নিবন্ধন না দেয়ার অনুরোধ জানান তারা। রাজাকারের সন্তানেরা যেন দেশে নির্বাচন না করতে পারে সেই দাবি তোলেন তারা।