রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বুধবার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জাতির বরেণ্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক ঐক্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে জোট তো ছিয়ানব্বই সালে আওয়ামী লীগও করেছিল। এখন কথা হলো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের সঙ্গে জোট করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে যারা দাবি করে, সেই আওয়ামী লীগকেও কিন্তু তাদের সঙ্গে জোট করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নীতিগত প্রশ্নে বিএনপি কখনও পাকিস্তানের ভাবাদর্শে বা ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাস করে না। বিএনপি বিশ্বাস করে এক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়। আজকে আওয়ামী লীগ সেই গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে৷’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, ‘একাত্তরে পাকিস্তানের দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে, চিরতরে ধ্বংস করতে ১৪ ডিসেম্বর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। তারা ভেবেছে, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশকে মেরুদণ্ডহীন করা যাবে।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় নিশ্চিত হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে এ দেশের দোসরদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী।
স্বাধীনতা পেলেও বাঙালি যাতে কোনো দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় দেশের সূর্যসন্তানদের।
আলবদর যাদের হত্যা করে, সেই তালিকায় ছিলেন মুনীর চৌধুরী, শহীদুল্লা কায়সার, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সিরাজুদ্দীন হোসেন, নিজামুদ্দীন আহমদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীনসহ আরও অনেকে।
তাদের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর পালন করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।