বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঁচ মাসে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে ৪৮ শতাংশ

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:৪৩

সচিব কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যের মজুত আগামী জুন পর্যন্ত যে প্রক্ষেপণ দেখানো যাবে, তাতে সব রকম কাজ করেও মজুতে কোনো ঘাটতি হবে না। ১৬ লাখ টনের বেশি খাদ্য মজুত রয়েছে। সুতরাং আমরা একটা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে আছি। আর ওএমএসসহ বিভিন্নভাবে যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে সেগুলো চলবে।’

জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে বিদ্যুতের ব্যয় ৪৮ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬০ শতাংশ বিদ্যুতের ব্যয় কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

সচিব কমিটির বৈঠক শেষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জুন থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুতে প্রায় ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে। আর জ্বালানি খাতেও ৪০ শতাংশ ব্যয় কমেছে। বৈঠকে তা তুলে ধরা হয়েছে।

‘২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের সব সচিবের বৈঠক হয়েছে। তারই একটি ফলোআপ বৈঠক হয়েছে আজ (মঙ্গলবার)। ব্যয় সংকোচন, যেমন এন্টারটেইনমেন্ট কেমন কমল, বিদ্যুতে কেমন কমল, তারপর পেট্রোলে কতটা কমছে- এসবের একটি পর্যালোচনা করেছি।’

রমজান মাস সামনে রেখে দেশে কোনো খাদ্য সংকটের আশঙ্কা নেই বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, ‘খাদ্যের মজুত আগামী জুন পর্যন্ত যে প্রক্ষেপণ দেখানো যাবে, তাতে সব রকম কাজ করেও মজুতে কোনো ঘাটতি হবে না। ১৬ লাখ টনের বেশি খাদ্য মজুত রয়েছে। সুতরাং আমরা একটা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে আছি। আর ওএমএসসহ বিভিন্নভাবে যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে সেগুলো চলবে।

‘বিশ্বজুড়ে চলমান আর্থিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় তাদের প্রকল্প এ, বি ক্যাটাগরি করে দিয়েছে। সেই ক্যাটাগরি কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।’

‘রোজা পর্যন্ত আমাদের কোনো খাদ্য সংকট হবে না। বোরো মৌসুম শেষ হয়ে গেলে আগামী মে মাস পর্যন্ত খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে। এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। খরা দীর্ঘায়িত হওয়ায় সুবিধা হচ্ছে যে নিম্নাঞ্চলেও আমন চাষ করা গেছে।’

দেশে গমের মজুত পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে বিদায়ী সচিব বলেন, ‘গমের উৎপাদন আমাদের দেশের পরিবেশগত না। এটা হলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ১২টি দেশের। এসব দেশে যে গম উৎপাদন হয় তা রিপ্লেস করা কঠিন। আমরা প্রায় ৫৮-৫৯ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন করেছি। এটার খাদ্যমূল্য আরও বেশি। আর গম আনার চেষ্টা চলছে।’

বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আসা বৈদেশিক ঋণ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সচিবদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এতে বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের জন্য ভালো হবে। আমরা ৪০০ মিলিয়ন ডলারের রিকুইজেশন দিয়ে তা খরচ করতে না পারলেও ব্যবস্থাপনা খরচ কম আসে না। সে কারণে এদিকটিতে বেশি নজর দেয়া হয়েছে।

‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবদের বৈঠকে ২৪ দফা নির্দেশনায় যে কোনো সংকটের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। কোনো কারণে সাপ্লাই চেইন বন্ধ হয়ে গেলে, এক মাস বা দুই মাস, সেটার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর