বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাসানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি অনুসন্ধানের নির্দেশ

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:৩৬

টাঙ্গাইলের বাসিন্দা তোফায়েল হোসেন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার রিট দায়ের করেন। দুদক চেয়ারম্যান ও দুইজন পরিচালক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ প্রতিপালন করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাইকোর্ট।

টাঙ্গাইলের মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. লোকমান হাসানের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে কলেজের তহবিল তছরুপের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম আশরাফ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

দুদক চেয়ারম্যান, দুদকের দু’জন পরিচালক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ প্রতিপালন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের স্থানীয় বাসিন্দা তোফায়েল হোসেন অধ্যক্ষ লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার রিট দায়ের করেন।

রিটের আগে ৩১ অক্টোবর এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনেও আবেদন করেন তোফায়েল হোসেন।

আবেদনে বলা হয়, ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কলেজ এমপিওভুক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে বিপথগামী কিছু শিক্ষক ও অধ্যক্ষের কারণে কলেজ ফান্ডের টাকা এবং শিক্ষার্থীদের প্রদেয় টাকা (বেতন, পরীক্ষার ফিস ইত্যাদি) ব্যাপকভাবে তসরুপ করা হয়।

‘এ কারণে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আব্দুল বাতেন ওই অধ্যক্ষকে অপসারিত করে কলেজের এক সৎ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। তার দক্ষ ব্যবস্থাপনার সুবাদে ফান্ডের প্রায় এক কোটি টাকা ব্যাংকে জমা হয়।

‘কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ লোকমান হোসেন নিজের দুই আপন মামা ও স্ত্রীকে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নিজে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি ও একজন চিকিৎসকসহ ৬জনের স্বাক্ষর ছাড়াই ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুমোদিত হয়। বর্তমান অধ্যক্ষ ওই ছয়জনের মধ্যে একজনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন।

এছাড়াও গভর্নিং বডির সভাপতির অনুমতি ছাড়া একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে তিনি ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর