বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আমাদের মতো গরিব পরিবারের ক্ষতিপূরণ হবে কীভাবে?’

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২২:১২

মাদারীপুর সদরের ইটেরকুল এলাকার একটি বাড়ি থেকে সোমবার রাতে ‘নিখোঁজ’ কিশোরকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছিল বলে ছেলেটি পুলিশকে জানায়। এ ঘটনায় বিনা দোষে অপদস্ত হয়েছেন বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন মামলার আসামি ও স্বজনরা।

ফরিদপুর শহরের উত্তর বিল মাহদপুর মহল্লার এক কিশোর গত ১২ অক্টোবর থেকে লাপাত্তা ছিল। ঘটনার ৪ দিন পর আদালতে গিয়ে চারজনের নামে অপহরণের মামলা করেন কিশোরের মা। পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তারও করে।

মাদারীপুর সদরের ইটেরকুল এলাকার একটি বাড়ি থেকে সোমবার রাতে ওই কিশোরকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছিল বলে ছেলেটি পুলিশকে জানায়।

এ ঘটনায় বিনা দোষে অপদস্ত হয়েছেন বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন মামলার আসামি ও স্বজনরা। ক্ষতিপূরণ পাবেন কিনা- তা নিয়ে তাদের সংশয়ও আছে।

ওই কিশোরকে উদ্ধারের খবর মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানায় ফরিদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ।

থানা পুলিশ জানায়, এলাকার একটি হোটেলে কর্মচারি ছিল ওই কিশোর। গত ১২ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে সে হোটেল থেকে বাড়ি না গিয়ে লাপাত্তা হয়। তার মা তিন দিন পর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন। পরদিনই তিনি ওই হোটেলের মালিক লিয়াকত হোসেন লিটন, হোটেলের কর্মচারি মো. মান্না ও মো. ছিদ্দিক এবং সেখানকার চায়ের দোকানের মালিক রনি তালুকদারকে আসামি ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

পুলিশ গত ২২ নভেম্বর লিয়াকত ও রনিকে গ্রেপ্তার করে। তারা পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান।

ডিবির ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, ছেলেটি গত রোববার একটি নম্বর থেকে কল দিয়ে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে। সে তথ্য জানার পর ওই নাম্বারের সূত্র ধরে মাদারীপুর সদরের ইটেরকুল এলাকা থেকে সোমবার রাতে ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয়। ছেলেটি পুলিশকে জানায়, এক অটোচালকের সঙ্গে কাজে খোঁজে যে খুলনা যায়। সেখান থেকে যশোর, গোপালগঞ্জ ঘুরে মাদারীপুর গিয়ে শ্রমিকের কাজ নেয়।

তাকে অপহরণের মামলার আসামি লিয়াকত বলেন, ‘গত ২২ নভেম্বর বিকেলে দুই পুলিশ সদস্য হোটেলে এসে চুড়ান্ত অপদস্ত করে আমাকে আটক করে পিঠ মোড়া দিয়ে হাতকড়া পড়িয়ে যে ভাবে ধরে নিয়ে যায় তা ছিল অসম্মানজনক।’

আরেক আসামি রনি তালুকদারের মা শাহীনূর বেগম বলেন, ‘রনিকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে জামিন করাতে আমাদের হয়রানির পাশাপাশি অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

‘আমাদের মতো গরিব পরিবারের এই ক্ষতিপূরণ হবে কীভাবে?’

এ বিভাগের আরো খবর