রাজধানী বিমানবন্দর এলাকায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়েন মিজানুর রহমান নামের ব্যবসায়ী। তবে প্রতারকরা তার কাছে থাকা টাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিতে পারেনি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মিজানুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন সিএনজি অটোরিকশার চালক মিজান মোল্লা। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে বিমানবন্দরের গোল চত্বর এলাকা থেকে মিজানুর গাড়িতে ওঠেন। তিনি বঙ্গমার্কেট যাবেন বলে পাঁচ শ’ টাকা ভাড়া দিতে চান। তিনি একা যাবেন এবং অন্য কাউকে গাড়িতে তুলতে মানা করেন।
‘গাড়ি ছাড়ার আগে দুজন ব্যক্তি ওঠার চেষ্টা করলে আমি তাদের মানা করি। তারা যাত্রী মিজানুরের পাশে বসে পড়লেও নেমে চলে যান। এরপর বঙ্গমার্কেটে পৌঁছে দেখি যাত্রী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। ডাকাডাকি করলেও সাড়া পাইনি। তার পকেটে হাত দিয়ে দেখি অনেক টাকা। তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্টমাক ওয়াশের পর মিজানুরকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। রাত পর্যন্ত তার চেতনা ফেরেনি।
অচেতন ব্যবসায়ীর টাকা জমা রেখেছেন পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
মিজানুরের ভায়রার ছেলে মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, ‘আমার খালু ভোর পাঁচটায় নেত্রকোনার বাড়ি থেকে বের হন। তিনি নেত্রকোনা শহরের বড়বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন। মালামাল কিনতে তার কাছে নগদ পৌনে দুই লাখ টাকা ছিল। নেত্রকোনা বাসস্ট্যান্ড থেকে শাহজালাল পরিবহনে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে টঙ্গীতে নেমে কিছু কাটপিস কিনেছেন। এরপর কাপড় কিনতে বঙ্গবাজার যান। তিনি অজ্ঞান পার্টির কবলে কখন পড়েছেন তা জানতে পারিনি।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, অচেতন কাপড় ব্যবসায়ীর পকেটে পাওয়া গেছে এক লাখ ২৪ হাজার টাকা। তার ব্যবহার করা মোবাইল ফোনটিও পাওয়া গেছে। স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীর কাছে থাকা টাকা ক্যাম্পে রাখা হয়েছে, স্বজনরা আসলে তা বুঝিয়ে দেয়া হবে।