নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশিতে কিছু জিনিস ভাঙাকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের স্বার্থেই যা দরকার করেছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে গ্রেনেড আছে কি না, বা অন্যান্য কোনো মারণাস্ত্র আছে কি না, সেটি দেখতে যাওয়া স্বাভাবিক।’
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ কোথায় হবে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধের জেরে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এরপর বিএনপির কার্যালয় ভেঙে ভেতরে ঢুকে কয়েক শ নেতা-কর্মীকে আটকের পাশাপাশি জব্দ করা হয় চাল, ডাল, তেল, মসলা, এমনকি রান্না করা কয়েক ডেকচি খিচুড়ি। ১৫টি ককটেল পাওয়ার কথাও জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সমাবেশস্থল হিসেবে নয়াপল্টনের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। তবে পুলিশ তাদেরকে অনুমতি দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনেই জড়ো হওয়ার ঘোষণার পর বুধবার পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ।
পরে দলীয় কার্যালয়ে অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনে বিএনপি।
তল্লাশি করতে গেলে কিছু কিছু ভাঙচুর করতেই হয় বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যের আয়না ভাঙা দেখিয়ে তারা বলছে তছনছ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের স্কাল্পচারের যে ফাউন্ডেশন, সেটার পেছনে কোনো কিছু লুকিয়ে রেখেছে কি না সেটা দেখতে হলে তো আয়না ভাঙতেই হবে। এছাড়া তো কোনো উপায় নেই। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের স্বার্থে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে।’
হাছান মনে করেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ফ্লপ হয়েছে। সেটি ঢাকতে গিয়েই তল্লাশিকে তারা অতিরঞ্জিত করে বলছে।
তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর যে হাকডাক দিয়ে তারা সমাবেশের ডাক দিয়েছিল, সেটার তুলনায় কিছুই করতে পারেনি। ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে বড়জোর ৫০ হাজারের মানুষের একটা সমাবেশ করেছে। তাও একটি গরুর হাটের ময়দানে। সে কারণে তারা মুখরক্ষার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ অনুযোগ উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।’
২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণাকে দুরভিসন্ধিমুলক বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এভাবে যুগপৎ আন্দোলন, যৌথ আন্দোলন বিভিন্ন সময় তারা ডাক দেয়। গত ১৪ বছর ধরে তারা বিভিন্ন সময় ডাক দিয়েছে, তাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি। এবারও যথারীতি তাই হবে।’