বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে ডিভিশনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আদালত ডিভিশন চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য বুধবার দিন ঠিক করে দেয়।
ডিভিশনের মাধ্যমে কারাগারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আসামিদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়। জেলকোডের নিয়মানুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে এ প্রথা চালু রয়েছে।
এর আগে এদিন সকালে মির্জা ফখরুল ইসলামের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস হাইকোর্টে ডিভিশন চেয়ে রিট করেন। ওই রিটের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, এরই মধ্যে তাদের ডিভিশন দেয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
বিকেলে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, তাদের কারাগারে প্রথম শ্রেণির সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। তখন বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, আমরা এই মুখের কথায় বিশ্বাস করি না। এটা আদালতের এভিডেভিট (লিখিত) আকারে জানানো হোক। পরে আদালত বুধবার আদেশের জন্য রাখে।
৬ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর গ্রেপ্তার করা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে। পল্টন থানার মামলায় ৮ ডিসেম্বর তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত।