বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নয়াপল্টনের সড়কে জমায়েত বিএনপি

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:২৩

গত বুধবার নয়াপল্টনে সড়ক আটকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে এদিন বাহিনীটির কর্মীরা নমনীয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকলেও তারা বিএনপির কর্মীদের বাধা দেয়নি। নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সড়কের উল্টো পাশের অংশ দিয়ে গাড়ি চলছে, তবে সংখ্যায় কম।

১০ ডিসেম্বর না পারলেও তিন দিন পর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কেই জমায়েত হয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হচ্ছে সেখানে।

গত শনিবার নয়াপল্টনে না পেরে গোলাপবাগের জমায়েত থেকে যে দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, তার মধ্যে ছিল মঙ্গলবারের মিছিল। তার আগের দিন মিছিলের সঙ্গে যোগ করা হয় সমাবেশ। জানানো হয়, কর্মসূচি হবে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে।

দুপুর দুইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২ টা থেকেই কার্যালয়ের সামনে আসতে থাকেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। দেড়টার পর থেকে আসতে থাকে মিছিল।

গত বুধবার নয়াপল্টনে সড়ক আটকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে এদিন বাহিনীটির কর্মীরা নমনীয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকলেও তারা বিএনপির কর্মীদের বাধা দেয়নি।

নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সড়কের উল্টো পাশের অংশ দিয়ে গাড়ি চলছে, তবে সংখ্যায় কম।

নয়াপল্টনে জমায়েত হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা

মূল সড়কে এক পাশে বন্ধ এবং এক পাশে সীমিত হয়ে যাওয়ায় আশেপাশের সড়ক এবং অলি গলিতে যানবাহনের চাপ দেখা দিয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর থেকে ধারাবাহিকভাবে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ থেকে বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশস্থল হিসেবে নয়াপল্টনের নাম ঘোষণা করে। তবে পুলিশ তাদেরকে অনুমতি দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনেই জড়ো হওয়ার ঘোষণার পর বুধবার পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ।

পরে দলীয় কার্যালয়ে চলে অভিযান। গ্রেপ্তার হয় কয়েক শ নেতা-কর্মী। সংঘর্ষের দিন সহিংসতার ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসকেও।

সমাবেশের দুই দিন আগে নাটকীয়ভাবে বিএনপি নয়াপল্টন ছেড়ে কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ নিয়ে আলোচনা শুরু করে। এরপর আগের দিন ঠিক হয় গোলাপবাগ মাঠের বিষয়টি।

সেই সংঘর্ষের পর থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত নয়াপল্টন ও বিএনপির কার্যালয় ছিল পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বিভাগীয় সমাবেশের পরের দিন তালা খুলে দিলে সেখানে যায় দলটির নেতাকর্মীরা। পরদিন সকাল ১১টার দিকে যান স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

এরপর মঙ্গলবারের সংশোধিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকার কথা স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।

কর্মসূচিতে নিরাপত্তায় মোতায়েন আছে বিপুল পুলিশ। নাইটিঙ্গেল মোড়ে ৫০ জনের মতো পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে।

পল্টন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হিরন্ময় বারুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ বিএনপির সমাবেশের অনুমতি আছে। তাই বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি। একটা সমাবেশের নিরাপত্তার জন্য যে পরিমাণ পুলিশ নিযুক্ত করা হয় সেরকমই আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর