বিএনপি-জামায়াত সমাবেশের মাধ্যমে সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তাদের বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজারে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের মাঠে থাকতে হবে। আগামীতে বিএনপির দুর্বৃত্তরা যে হাত দিয়ে আক্রমণ করবে তা ভেঙে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে যারা চেনেনি তারা কবরস্থানও চিনবেন না। তাদের রাজনীতি দেশের মানুষের জানমাল ধ্বংস করা ও হত্যার ওপর। অসৎ উদ্দেশে অরাজকতা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে।’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী সময় এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও সংকট তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের সমান দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের প্রত্যেককে দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করতে হবে এবং সমাজকে ভালোবাসতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনের পর কাউন্সিল অধিবেশন ছাড়াই সিরাজুল মোস্তফাকে সভাপতি ও মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
একই বছরের ১৩ অক্টোবর ৭১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও তখনকার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে সভাপতি সিরাজুল মোস্তফাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়।