বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবেদন ফি জমা না দিয়েও এন্ট্রি

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:৫৩

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতে এভাবে আবেদন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

আবেদনকারীর অজ্ঞাতে বা অনুমতি ছাড়া অনলাইনে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও গাজীপুর সদরের ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগও করেছেন।

ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, ‘আমি বা আমার পরিবারের কেউ অনলাইনে আমার ভর্তির আবেদন কিংবা টাকা জমা না দিলেও গত ৮ ডিসেম্বর আমার মোবাইল ফোনে মেসেজ এসেছে ভর্তির আবেদন সাকসেসফুল (ইউর অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন হেজ বিন সাবমিটেড সাকসেসফুলি অ্যান্ড ইউর সিকিউরিটি কোড---) এবং ভর্তির জন্য ১৫০ টাকাও জমা হয়ে গেছে। ওই আবেদনে ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামটি ফার্স্ট চয়েজসহ দূর-দূরান্তের অন্যান্য কলেজের নাম দেয়া হয়েছে।

সাদিয়া বলেন, ‘এ স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছি। পরে স্থানীয় কম্পিউটার দোকানে অনলাইনে আমার পছন্দের কলেজের নাম উল্লেখ করে আবেদন করতে গেলে আমার আবেদনটি রিসিভ হচ্ছিল না। আগের আবেদনটিও বাতিল করা সম্ভব হচ্ছে না।’

বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সানোয়ার হোসেনের কাছে গেলে তিনি সাদিয়াকে বলেন, ‘দুটি বছরই তো। থাক না এই প্রতিষ্ঠানেই। আমাদের ছাত্রী আমাদের এখানেই থাক।’

একই অভিযোগ করেন ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস হওয়া আজিম হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রতিষ্ঠানের মানবিক শাখা থেকে জিপিএ ৩.০৬ নিয়ে পাস করেছি। আমার রোল নং ৩১৫২৯১। আমি ওই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখায় ভর্তির জন্য অনলাইনে কোন ফি দেইনি কিংবা ভর্তির কোনো আবেদন করিনি। আমার অনুমতি না নিয়ে ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম উল্লেখ করে সেখানে আমার ভর্তির জন্য আবেদন করেছে তারা। এ জন্য আমি আবেদন বাতিল ও বিনা অনুমতিতে কেন আমার ভর্তির আবেদন করা হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আবেদন করেছি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে।’

ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এসএসসি পাস হওয়া ছাত্র মাহফিল হোসেন একই অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার অভিভাবক এ বিষয়টি কেন করা হয়েছে জানতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে অশালীন কথা বলেন এবং তাকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে দেবে না বলে জানায়।’

একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের আরও অনেকে একই অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্কুলের কেউ তথা আমি নিজে এসএসসি উত্তীর্ণ কোনো শিক্ষার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে দেইনি। যেসব শিক্ষার্থী আমাদের কাছে আবেদন করে দেয়ার জন্য এসেছে শুধু তাদেরই আমরা আবেদন করে সহযোগিতা করেছি মাত্র।’

তবে তিনি এও স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে অনরোধ করে আমাদের কলেজে আবেদন করার জন্য বলেছি। তবে সে সংখ্যাটি জানি না।’

এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতে এভাবে আবেদন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর