শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও বেদনার সঙ্গে স্মরণ করবে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। যথাযথভাবে দিবসটি পালনে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার কর্মসূচির বিস্তারিত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করবে।
পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব ও শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭টা ২২ মিনিটে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
এদিন সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটির তাৎপর্য ও বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল এ দিন বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়াও শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসানালয়ে বিশেষ প্রার্থনা হবে।
বুদ্ধিজীবী দিবসের পবিত্রতা রক্ষায় এ দিন স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখন ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।
নিজেদের পরাজয় আঁচ করতে পেরে মুক্তিকামী বাঙালি জাতি যেন মেধায়-মননে আর কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য হত্যা করা হয় শিক্ষক, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।