বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার সাফাই সাক্ষ্য

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৪৩

সাক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কেল আলী ও আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘একাত্তর সালে মধু বাহিনী নামে কোনো বাহিনীর নাম শুনিনি। আর মধু মিয়া রাজাকার ছিলেন না। ওই সময় তারর বয়স ছিল ৯/১০ বছর। সে তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।’

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারাধীন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মো. মধু মিয়া তালুকদার ওরফে মো. মধু মিয়ার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

সাক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কেল আলী ও আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘একাত্তর সালে মধু বাহিনী নামে কোনো বাহিনীর নাম শুনিনি। আর মধু মিয়া রাজাকার ছিলেন না।

‘যুদ্ধকালীন মধু মিয়া তালুকদারের বাবা সুলতান মিয়া তালুকদার আমাদেরসহ আনুমানিক ২০০ মুক্তিযোদ্ধাকে গরু জবাই করে দাওয়াত খাওয়ান। ওই সময় মধু মিয়া তালুকদারের বয়স ছিল ৯/১০ বছর। সে (মধু মিয়া) তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।’

সোমবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামসহ তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তারা।

আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। অন্যদিকে প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।

সাফাই সাক্ষ্যে আক্কেল আলী বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই মধু মিয়া তালুকদারকে চিনি। আমি ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের শেষে এসে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।

‘যুদ্ধকালীন আমরা মুক্তিযোদ্ধারা মধু মিয়া তালুকদারের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামেও যাতায়াত করতাম। তখন আমরা মধু বাহিনী নামে কোনো বাহিনীর নাম শুনিনি বা সে রাজাকার ছিল মর্মে কারও কাছ থেকে শুনিনি।’

এরপর আশরাফ উদ্দিন তার সাক্ষ্যে বলেন, ‘আমাদের এলাকায় মধু বাহিনী নামে কোনো বাহিনী ছিল না বা সে রাজাকার ছিল না। সে ভাল লোক মর্মে আমিসহ ২৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা মধু মিয়া তালুকদারের অনুকূলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমরা তাদেরকে জেরা করেছি। জেরায় উঠে আসা তথ্য আমরা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে তুলে ধরব। আদালত ১৫ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছেন।’

২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি মধু মিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে তদন্ত সংস্থা। এরপর তারা প্রসিকিউশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই প্রতিবেদনের আলোকে অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা তথ্যমতে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের আগে মধু মিয়া এবং তার বংশের লোকজন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নে পিস কমিটি ও ‘মধু বাহিনী’ নামে একটি রাজাকার দল গঠন করেন বলে সাক্ষীদের থেকে জানা যায়। তখন এই আসামি ওই রাজাকার কমিটির কমান্ডার ছিলেন।

দেশ স্বাধীনের পর মধু পলাতক থাকেন। ১৯৭৬ সালে নিজ গ্রামে ফিরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন এবং ২০১৬ সালে বিএনপি থেকে মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এ বিভাগের আরো খবর