বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০ ডিসেম্বরের খেলায় জিতেছি, নির্বাচনের ফাইনালেও জয়: কাদের

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:১৬

‘১০ ডিসেম্বরের খেলায় আমরা জিতে গেছি। খেলা হবে, নির্বাচনেই ফাইনাল খেলা হবে।… নির্বাচন হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতিবাজ তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে খেলা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল আবারও সরকার গঠন করবে।

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপি জনসভাকে কেন্দ্র করে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাকে খেলা উল্লেখ করে তাতে জয় দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, এই খেলার ফাইনাল হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে।

সোমবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই কথা বলেন তিনি।

বিশ্বকাপের মৌসুমে গত কয়েক বছর ধরে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ‘খেলা হবে’ বলে যে স্লোগান কাদের দিয়ে আসছেন, সেটির আরও একবার ব্যবহার দেখা গেল এখানে।

‘খেলা হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ খেলা হবে আগামী বছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। ফাইনাল খেলা… বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আবার ক্ষমতায় আসবে।

তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরের খেলায় আমরা জিতে গেছি। খেলা হবে, নির্বাচনেই ফাইনাল খেলা হবে।… নির্বাচন হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতিবাজ তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে খেলা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল আবারও সরকার গঠন করবে।

বিএনপির চাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আর ফিরবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। আরে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে ভূত হয়ে গেছে। সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।’

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে সরকার পতন হয় না। ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে সরকার গঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারা আছে।’

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ভোট চুরি করেছে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘১৫ ফ্রেবুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি ভোট ‘চুরি’ করেছে। তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল।’

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফও। তিনি বলেন, ‘১০ তারিখ এমন একটা ভাব হয়েছিল, বাংলাদেশে যেন ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে যাচ্ছে। আমাকে একদিন একটি প্রভাবশালী বিদেশি দেশের রাষ্ট্রদূত জিজ্ঞেস করছিলেন, যে ১০ তারিখে কী হচ্ছে? আমি ভাবখানা এমন ছিল যেন ১০ তারিখে আকাশ মাথায় ভেঙে পড়ছে। আকাশের জায়গায় আকাশ আছে, আকাশ ভেঙে পড়ে নাই। যারা এই ১০ তারিখ নিয়ে আকাশ ভাঙার স্বপ্ন দেখেছিল, তারাই ভেঙে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১০ তারিখের সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা একটা মিথ্যাচারীর দল। ভাঁওতাবাজির দল। দেশের জনগণের সঙ্গেও প্রতারণা করে, মিথ্যাচার করে, নিজের কর্মীদের সঙ্গেও মিথ্যাচার করে।

‘জিয়াউর রহমান এই দলটা তৈরি করেছিল ক্যান্টনমেন্টে বসে অবৈধ পন্থায়। যে দলের সৃষ্টিটাই অবৈধ, সে দলের কর্মকাণ্ড কখনো জনগণের কল্যাণে হতে পারে না।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন হানিফ।

সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সংলগ্ন খোলা জায়গায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলনের শুরু হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, সামশুল হক চৌধুরী আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভীও অংশ নেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলামও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মোছলেম-মফিজই থাকছেন নেতৃত্বে

১৭ বছর পর হওয়া এই সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন এলো না। আগের পূর্বের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই ফের নেতৃত্বে এসেছেন।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও মফিজুর রহমানের নামই ঘোষণা করেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ।

দীর্ঘদিন পর এই সম্মেলনে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্ব আশা করলেও কৌশলগত কারণে পুরোনোদের কাঁধেই দায়িত্ব দেয়ার কথা জানান নেতারা।

এর আগে ২০০৫ সালে ২৩ জুলাই নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে সভাপতি ও মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

২০১২ সালে বাবুর মৃত্যুর পর মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর