শেরপুরে দেখা দিয়েছে গরুচোর আতঙ্ক। সম্প্রতি চুরির কয়েকটি ঘটনা ঘটায় কৃষক ও খামারিরা নিজ নিজ গরু পাহাড়া দিতে শুরু করেছেন রাত জেগে।
সদর উপজেলার চরশেরপুর টাঙ্গারিয়া পাড়ার কৃষক ও খামারি নাজির হোসেনের অস্ট্রেলিয়ান জাতের দুটি গাভীসহ চারটি গরু গত ১০ ডিসেম্বর রাতে চুরি হয়। দুই মাস আগে পাশের গ্রামের ধাতিয়াপাড়ার কৃষক সমেজ উদ্দিনের ছয়টি গরু চুরি হয়।
সমেজ উদ্দিন, ‘আমার ৬টি গরু দুই মাস আগে চুরি হয়ে গেছে। আমি একটি জিডিও করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাইনি।’
গরু চুরির এসব ঘটনায় কৃষক ও খামারিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। রাত জেগে অনেকে পাহারাও দিচ্ছেন।
চরশেরপুর নাজিরাগাড়া এলাকায় লাগানো একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, নীল রংয়ের একটি ট্রাকে চুরি করা গরুগুলো তুলে নিয়ে ভোর ৩টা ৩৭ মিনিটে নিয়ে যায় চোরেরা। মোটরসাইকেল ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে যায়।
চরশেরপুর ইউনিয়নের বালুরঘাট এলাকার জুলফিক্কার আলী বলেন, ‘আমরা পরিবারের সদস্যরা পালাক্রমে গরু পাহারা দেই। একজন ঘুমাই, অন্য একজন জেগে থাকি। আমরা এসব চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
টাংগারিয়াপাড়ার জুবাইদুল বলেন, ‘আমার গরুও চুরি করবার আইছিল। শব্দ পাইয়া ঘুম ভাইঙ্গা ওইঠা দেহি গোয়াল ঘরেরও দরজা ভাঙ্গা। আমি খুব চিন্তায় আছি, আমার গরুও কহন চুরি করে। রাত জাইগা পাহাড়া দিতাছি এহন।’
শেরপুর সদর থানায় ১১ ডিসেম্বর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন কৃষক নাজির হোসেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘আমরা গরু চুরি হওয়ার ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। রাতে কুয়াশা থাকায় সিসিটিভি ফুটেজে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের নাম্বার বোঝা যায়নি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’