বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে মামলা: মেয়র আতিকুল

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:৫৩

মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরের কোনো জায়গা মালিকানা ছাড়া নাই। ঢাকার প্রতিটি জায়গা হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অধীন। অতএব মালিক বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের জায়গা ও জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে।’

রাজধানী ঢাকার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জায়গায় মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে মামলার মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে কিউলেক্স মশার প্রকোপ-নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরের কোনো জায়গা মালিকানা ছাড়া নাই। ঢাকার প্রতিটি জায়গা হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অধীন। অতএব মালিক বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের জায়গা ও জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে।

‘আমি সবাইকে সাত দিন সময় দিচ্ছি। সাতদিন পর আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবো। ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাবে। কোথাও কচুরিপানা বা মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না। নিয়মিত মামলা দেয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতে মশার চাষ হচ্ছে। এগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ অন্য সংস্থার অধীন। জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমানে কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন করা সম্ভব না। সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে।’

এ সময় ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগকে সব সংস্থা ও হাউজিং সোসাইটিগুলোর সাথে সমন্বয় করে পহেলা জানুয়ারি থেকে এক বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে একটি ক্যালেন্ডার প্রনয়ণের নির্দেশ দেন তিনি।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘শুধু কিউলেক্স মশা নয়। এডিস মশাও এখনো রয়েছে। আমাদের মশক নিধন কার্যক্রম ও অভিযান চলমান। দুই ভবনের মাঝখানে খালি জায়গায় অনেকে ময়লা ফেলে দেন। দয়া করে এটি বন্ধ করুন। স্থানীয় জনগণ ও হাউজিং সোসাইটির উদ্যোগে এগুলো বন্ধে কাজ করুন। অনেক হাউজিং সোসাইটি মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন কিনেছেন। আমরা সেসব সোসাইটিকে ডিএনসিসি থেকে বিনামূল্যে মশার ওষুধ সরবরাহ করবো।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ও অন্যান্য ভবনের পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি বৃষ্টির পানি নামার সারফেস ড্রেনে দিয়ে শহরের খাল ও জলাশয় দূষণ করছে। আমরা বার বার বলেছি প্রতিটি ভবনে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। গুলশান, বনানী, নিকেতন ও বাড়িধারা এলাকায় আমাদের বর্জ্যবিভাগ থেকে ইতিমধ্যে সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন করেছে। আগামী ৪ জানুয়ারি এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসি মেয়রের উপদেষ্টা অধ্যাপক কবিরুল বাসার বলেন, ‘মানুষ এখন অনেক সচেতন। সবাই জানেন কেন এবং কোথায় মশার জন্ম হয়। কিন্তু মানুষ মশা নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত হচ্ছে না। মশা নিয়ন্ত্রণে মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি সম্পৃক্ত হতে হবে। একা কারও পক্ষেই মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।’

মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ অন্য সংস্থার প্রতিনিধি এবং ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধিরা।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ডিএনসিসির মশক নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর