বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির পদত্যাগী এমপিদের আসনে দ্রুত উপনির্বাচনের চিন্তা

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:১৪

‘ম্যাক্সিমাম ৯০ দিন। তফসিল আমরা খুব তাড়াতাড়িই দেব ইনশা আল্লাহ। যেহেতু ৯০ দিনের মধ্যেই করতে হবে। … মিনিমাম সময় যেটা দিতে হয় সেটি দিয়ে আমরা হয়তো দিয়ে দেব। আমরা ৯০ দিন অপেক্ষা করব না। যেহেতু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের এক বছরের একটু বেশি সময় আছে। ওই হিসেবে ৯০ দিনের আগেই দিয়ে দেব।’

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করার কারণে শূন্য হওয়া আসনগুলোতে ভোটের আয়োজন করতে সংবিধানে থাকা ৯০ দিনের সময়সীমার অপেক্ষায় থাকতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এক বছরের মতো সময় থাকার কারণে এসব আসনে যত দ্রুত সম্ভব ভোটের আয়োজন করতে চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পরদিন সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে উপনির্বাচন নিয়ে কথা বলছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করা আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পেয়েছে বলে জানিয়েছে। পরবর্তী প্রসিডিউর হচ্ছে আমরা সভায় বসব। বৈঠকে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কবে নির্বাচন হবে, তার শিডিউল ঘোষণা করা হবে।’

আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার যে বাধ্যবাধকতা, সেটির প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ‘ম্যাক্সিমাম ৯০ দিন। তফসিল আমরা খুব তাড়াতাড়িই দেব ইনশা আল্লাহ। যেহেতু ৯০ দিনের মধ্যেই করতে হবে। … মিনিমাম সময় যেটা দিতে হয় সেটি দিয়ে আমরা হয়তো দিয়ে দেব। আমরা ৯০ দিন অপেক্ষা করব না।

‘যেহেতু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এক বছরের একটু বেশি সময় আছে। ওই হিসেবে ৯০ দিনের আগেই দিয়ে দেব। '

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরেকজন নির্বাচন কমিশনার ঢাকার বাইরে আছেন। তারা ঢাকায় ফিরবেন বুধবার। তার পরদিন বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে বৈঠক হতে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, 'সব নির্বাচনই ৯০ দিনের মধ্যে করতে হয়। কিন্তু মিনিমাম একটা সময় দিতে হয়। কারণ, নমিনেশন জমা দেয়ার সময় আছে, বাছাইয়ের সময় থাকে, প্রত্যাহারের সময় থাকে, প্রচারণার সময় থাকে। এ জন্য ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় দিতে হয়। এই সময়টা দিয়ে তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

জাতীয় নির্বাচনের আগেই ছয়জন সংসদ সদস্যের পদত্যাগ বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, আমরা কোনো প্রেসার অনুভব করছি না। আমাদের হলো রেফারির কাজ। আমরা মাঠ প্রস্তুত রাখব, গ্যালারি প্রস্তুত রাখব। সবকিছু প্রস্তুত রাখব, প্লেয়াররা খেলতে আসবেন।’

আরেক প্রশ্নে আলমগীর বলেন, ‘মাঠে আসার আগপর্যন্ত দায়িত্ব কিন্তু যারা এটির আয়োজন করে তাদের, সরকার এবং রাজনীতিবিদদের। এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা মাঠ তৈরি করব, গ্যালারি তৈরি করব।’

‘খেলোয়াড়রা আসুক বা না আসুক আপনারা শুধু মাঠ প্রস্তুত রাখবেন?

জবাব আসে, ‘খেলোয়াড়রা তো অবশ্যই আসবেন। সব খেলোয়াড়রা না-ও আসতে পারেন। যাদের প্রস্তুতি থাকবে না তারা তো না-ও আসতে পারেন। ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। সবগুলো দলই যে নির্বাচন করবে সেটি তো আর বলা যায় না।’

সবাই নির্বাচনে না এলে মনে অসন্তুষ্টি থাকবে কি না, এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা দেখব যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বা সক্রিয় রাজনৈতিক দল যারা আছে, তারা এলেই বলব যে একটু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর