বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সমাবেশ তো করলেন গরুর মাঠে: বিএনপিকে মায়া

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৪

‘বিএনপির নেতারা বলেছিল তারা ১০ তারিখ পল্টনেই সমাবেশ করবে। এক ইঞ্চিও সড়বে না। তারা বলে আপসহীন নেতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গেল কই; সেই গোলাপবাগের গরুর হাটের মাঠে৷ ১০ তারিখ তারা দেশকে উল্টিয়ে ফেলবে বলেছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ রাজপথে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।’

অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েও পরে সায়েদাবাদের কাছে গোলাপবাগে জমায়েত হওয়ায় বিএনপিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। বলেছেন, যেখানে বিএনপির সমাবেশ হয়েছে, সেটি গরুর মাঠ।

বিএনপিকে ‘ভালো হয়ে যাওয়ার’ পরামর্শ দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা সব দলকে নিয়ে মিলেমিশে জাতীয় নির্বাচনে দলটিকে অংশ নেয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন মায়া। ‘বিএনপি ও জামায়ত-শিবিরের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ বিষয়ে এই সভার আয়োজন করে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট নামে একটি সংগঠন।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলেছিল তারা ১০ তারিখ পল্টনেই সমাবেশ করবে। এক ইঞ্চিও সড়বে না। তারা বলে আপোষহীন নেতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গেল কই; সেই গোলাপবাগের গরুর হাটের মাঠে৷

‘১০ তারিখ তারা দেশকে উল্টিয়ে ফেলবে বলেছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ রাজপথে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।’

মায়া বলেন, ‘তাদের নেতা আমানউল্লাহ আমান, গোলাবিহীন কামানের কথায় মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছিল। না জানি কী করে ফেলবে। বিএনপির সমাবেশে কেউ কয় ১০ লাখ, কেউ কয় ২৫ লাখ, কেউ বলে ঢাকায় এক ইঞ্চি যায়গাও খালি থাকবে না। মাত্র ১৫-২০ হাজার লোক নিয়ে বিএনপি সেখানে তামাশা করে চলে গেছে।’

বিএনপিকে ভোটে আসার পরামর্শ দিয়ে মায়া বলেন, ‘ভালো হয়ে যান, ভালো হতে পয়সা লাগে না। ভালো কাজ করতে গুন্ডামি করা লাগে না। চলেন সবাই মিলে এক সঙ্গে ২০২৪ সালের নির্বাচনটা করি। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এই স্লোগানের ভিত্তিতে আপনারা (বিএনপি) এবং আমরা মিলে নির্বাচনটা করি।

‘নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে পারবেন। অন্যথায় পল্টনে সমাবেশ করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।’

বিজয়ের মাসে কাউকে সন্ত্রাস করতে দেয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন মায়া। বলেন, ‘বিজয়ের মাস মুক্তিযুদ্ধের মাস। এই মাস আওয়ামী লীগের মাস, স্বাধীনতা পক্ষের মানুষের মাস। এই মাসে তাদের (বিএনপি) ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দিতে পারি না।’

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব পালন করবেন। কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না। সংবিধানের যে বিষয় আছে তা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।’

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকরা নোংরাভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে বলেও মনে করেন কামরুল। বলেন, ‘যেভাবে কূটনৈতিকরা দেশের রাজনীতিতে প্রবেশ করে প্রভাবিত করছে তা কোনো অবস্থাতে মেনে নেয়া যায় না। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কারও সঙ্গে শত্রুতা চাই না। এই নীতিতে আমরা থাকতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর