ঢাকার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের দিন প্রাণ হারানো মকবুল আহমেদের পরিবারকে এক লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিএনপি। ভবিষ্যতে পরিবারটিকে আরও সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হয় দলটির পক্ষ থেকে ।
মকবুল মিরপুরের পল্লবী থানার ৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন, যিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে মকবুলের স্ত্রী মেরিনা আক্তার বর্ষা এবং ছোট মেয়ে মিথুরা আক্তার মারিয়ার হাতে আমিনুলের দেয়া অনুদানের অর্থ তুলে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার ও ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক এর আগে মকবুলের পরিবারকে এক লাখ টাকা অনুদান দেন। পাশাপাশি তার মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়েছেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘মকবুলের পরিবারের জন্য এটি খুবই সামান্য ব্যাপার। আমরা দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করব, তাদের জন্য আরও কিছু করার। আমাদের দল মকবুলের এই ত্যাগ সারা জীবন মনে রাখবে এবং তার অসহায় পরিবারের পাশে থাকবে।’
গত ৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির ধারাবাহিক বিভাগীয় সমাবেশের শেষ কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যে সমাবেশের ডাক দেয় তার সভাস্থল নিয়ে বিরোধের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান মকবুল।
বিএনপি এই সমাবেশটি করতে চেয়েছিল নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
‘পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, বিএনপির সমাবেশ নয়াপল্টনেই’-গত বুধবার দলের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এই ঘোষণা দেয়ার কিছুক্ষণ পর দলের নেতা-কর্মীরা সেদিন সড়ক আটকে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। পুলিশ এসে বাধা দিলেই শুরু হয় সংঘর্ষ।
আহত মকবুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে ছুটে যাওয়া স্ত্রীর কাছ থেকে জানা যায় মকবুলের জীবনের কঠিন বাস্তবতার কথা। জানা যায়, তার জুতার ব্যবসাই পরিবারটির আয়ের একমাত্র পথ ছিল।
এই দম্পতির একমাত্র সন্তান ৯ বছরের মিথিলা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে।
অনুদান তুলে দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।