বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শামীম ওসমানকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা ‘সোজাসাপটা’ বন্ধ, সম্পাদকের নামে মামলা

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:০৮

মামলার এজাহারে হাফিজুর রহমান বলেন, সাংবাদিক আবু সাউদ মাসুদ তার পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘ইবলিশের খপ্পরে সোজাসাপটা’ শিরোনামে ইচ্ছাকৃতভাবে সংবাদ প্রকাশ করে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছবি বিকৃত করে রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তার বিরুদ্ধে বিকৃত তথ্য প্রকাশ করেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পত্রিকাটির প্রকাশনাও।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা করেন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) হাফিজুর রহমান।

দৈনিক সোজাসাপটার প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়াও আসামি আবু সাউদ মাসুদ নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটির কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এই প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সোমবার দুপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে।

থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইদুজ্জামান জানান, ৮ ডিসেম্বর রাতে এই মামলাটি করা হয়। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় রোববার রাতে।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে শামীম ওসমানের নামে 'মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় ওই পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় তাকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে নিজেকে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সচিব পরিচয় দিয়ে বাদী হাফিজুর রহমান বলেন, সাংবাদিক আবু সাউদ মাসুদ তার পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘ইবলিশের খপ্পরে সোজাসাপটা’ শিরোনামে ইচ্ছাকৃতভাবে সংবাদ প্রকাশ করে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছবি বিকৃত করে রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তার বিরুদ্ধে বিকৃত তথ্য প্রকাশ করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, ওই শিরোনামের প্রতিবেদনটি পত্রিকার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনের কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে শামীম ওসমানের মানহানি হয়েছে। এমন বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করায় জেলায় অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার উপক্রম হয়েছে।

এ অবস্থায় তিনি সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় মামলা করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

মামলার বিষয়ে জানতে বাদী হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার যা কথা তা মামলার কপিতে উল্লেখ করে দিয়েছি। এখন কথা বলা সম্ভব নয়।’প্রকাাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিলের চেষ্টা করছেন। প্রতিবেদনের সঙ্গে শামীম ওসমানের একটি কার্টুনও ছাপা হয়।

মামলার বিষয়ে সাংবাদিক আবু সাউদ মাসুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হামলা মামলা করে সংবাদ লেখা বন্ধ করা যাবে না। আমি কোনো অন্যায় বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করিনি। সাংবাদিকতা করি, মামলা হতেই পারে। কিন্তু অন্যায়ের সঙ্গে কোনো আপস করব না। আমি কাউকে কখনো ভয় পাইনি আর পাইও না। আমি স্বহারা মানুষ। আমার হারানোর মতো কিছু নেই। মামলা যেহেতু হয়েছে সেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় যাব।’

পত্রিকা ছাপা বন্ধ

এদিকে পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিল করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক)। মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ভুল উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো ডিক্লারেশন বাতিলের একটি চিঠি ৮ ডিসেম্বর সম্পাদক ও প্রকাশক আবু সাউদ মাসুদ পেয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর থেকে পত্রিকাটির মুদ্রণ বন্ধ রয়েছে।

আবু সাউদ মাসুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে নিজের পক্ষে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। ১১ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত দিয়েছি।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি রেকর্ড করে থানার একজন উপপরিদর্শককে তদন্তভার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরক্তি পুলিশ সুপার (ক র্সাকেল) নাজমুল আলম। তিনি জানান, তদন্তের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর