মাদারীপুরের সদর উপজেলায় এক কৃষককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার স্ত্রীসহ শিশু সন্তানও আহত হয়।
উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের জয়ার এলাকায় রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ৪৫ বছর বয়সী ওই কৃষকের নাম আক্কাস হাওলাদার। তিনি মস্তফাপুর ইউনিয়ন বড় খালপাড় এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ উঠেছে মস্তফাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউল হাওলাদার ও তার অনুসারী কুদ্দুস হাওলাদার, শাহীন হাওলাদার, আবু তালেব হাওলাদার ও আকাশ হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
স্থানীয় ও আহতদের স্বজনদের বরাতে তিনি জানান, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে ৩টি গরু চুরি হয় কৃষক আক্কাস হাওলাদারের। এ নিয়ে মস্তফাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউল হাওলাদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে কৃষক আক্কাস।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষক আক্কাসের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় ইউপি সদস্য জিয়াউলের।
এ ঘটনার জেরে রোববার সন্ধ্যায় আক্কাস হাওলাদার তার স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে মাদারীপুর শহরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান জিয়াউল হাওলাদার ও তার অনুসারীরা। এতে গুরুতর আহত হন আক্কাস, তার স্ত্রী ও তার শিশুসন্তান।
পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কৃষককে উদ্ধারের পর মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।
আক্কাস বলেন, ‘আমার গরু চুরি হওয়া নিয়ে জিয়াউল মেম্বার আমার সঙ্গে তর্ক করতে আসে। রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে তিনি ও তার অনুসারীরা রামদা, কুড়াল, হাতুরি নিয়ে আমার ওপর হামলা করে আমাকে গুরুতর আহত করে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।’
আহতের স্ত্রী ময়না বেগম বলেন, ‘আমাকে আর আমার বাচ্চাকে অটোরিকশা থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় তারা। আমি কান্না করলে আমার ওপরেও হামলা চালায়। বলে, কান্না করলে তোকেও কোপাব।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য জিয়াউল হাওলাদার বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। কারা হামলা করেছে এ বিষয়ে আমি জানি না।’
এ বিষয়ে ওসি মনোয়ার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই কৃষক লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’