বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে জয়: কাদের

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:১৫

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। এরপর সেমিফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা’।

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে যা হয়েছে, তাতে ‘কোয়ার্টার ফাইনালের’ সঙ্গে ‍তুলনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, জিতেছেন তারা, সেমিফাইনাল হবে সামনে। আর ফাইনাল হবে নির্বাচনে। তাতেও আসবে জয়।

সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বিশ্বকাপ ফুটবলের মওসুমে ওবায়দুল কাদেরের প্রায় প্রতিটি বক্তব্যেই বিএনপির সঙ্গে ‘খেলার’ বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এই বক্তব্যেও উঠে এসেছে সেটি।

গত ১০ ডিসেম্বর অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েও পরে সেখান থেকে কিলোমিটার পাঁচেক দূরে ঢাকার এক প্রান্ত গোলাপবাগে সমাবেশ করার বিষয়টি নিয়ে তিনি আবার সেই খেলার প্রসঙ্গ তোলেন।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। এরপর সেমিফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা।’

তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর চলে গেল। কত কত কথা। বিআরটিসি বাস পোড়ালো, কত যে হাক ডাক। আতঙ্ক ছড়ানো হলো। সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন। কিন্তু তাদের এ রঙিন খোয়াব শেষ হয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হয়ে। এখন সেমিফাইনাল হয়ে ফাইনালেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।’

গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে বিএনপি যে দাবির তালিকা তুলে ধরেছে, তাতে নতুন কিছু পাননি কাদের। বলেন, ‘এরপরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে মেনে নেয়ার মতো কোন দাবি আছে কি না।’

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপি ছক একেছিল ১০ ডিসেম্বর দেশ অচল করে দেবে। কিন্তু নিজেরাই অচল হয়ে গেছে।’

বিএনপির সংসদদের পদত্যাগ কত বড় ভুল, সেটি তারা অচিরেই বুঝতে পারবেন বলেও মনে করেন কাদের।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘দণ্ডিত আসামি তারেক রহমান ১০ ডিসেম্বর দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। অথচ তিনি রাজনীতি করবেন না মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন। তারেক কবে ফিরবেন? দেখতে দেখতে ১৫ বছর, তারেক আসবে কোন বছর, আদৌ কি আসবে, মানুষ বাঁচে কয় বছর?’

তিন বছর পর হওয়ার কথা থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের এই জেলা শাখার সম্মেলনটি হচ্ছে সাত বছর পর। শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এ আয়োজনকে ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সম্মেলন স্থল রূপ নিয়েছে জনসভায়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দলটির নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা

বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ওবায়দুল কাদের।

কাদের বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ থেকে অর্থ লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়ে পলাতক তারেক রহমান। তারা আবার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। দেশে যথেষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।’

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকসহ অন্য নেতারাও এতে বক্তৃতা রাখেন।

সম্মেলনকে ঘিরে শহর ছেয়ে গেছে পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করার আহ্বান জানাচ্ছেন দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

এই আয়োজনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ বিরোধে জড়ায়। দুইপক্ষের মধ্যে মারামারিতে ৬ জন আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। তবে পরে অন্য নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ছোট কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।’

২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর