বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদারীপুরে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৯:৩২

চলতি বছরে প্রতি টন কয়লা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা। এ ছাড়া ডিপো থেকে ভাটা পর্যন্ত কয়লা আনতে ট্রাকে ভাড়া লাগছে টনপ্রতি ২ হাজার টাকা। অন্যদিকে এক টন কাঠের দাম প্রায় ৮ হাজার টাকা। কয়লার তুলনায় কাঠ পোড়ালে প্রায় চার গুণ বেশি লাভ হয়।

আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইটের ভাটায় মানসম্মত কয়লা ব্যতীত অন্য কোনো জ্বালানি ব্যবহার করা যাবে না । তবে প্রশাসনের তদারকির অভাবে নির্বিঘ্নে মাদারীপুরের প্রায় সব ইটভাটায় কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। এতে একদিকে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে উজাড় হচ্ছে বন-জঙ্গল।

ইটভাটার মালিকদের দাবি, কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ ভাটায় কাঠ পোড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।

প্রশাসন বলছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে।

সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকায় এসবিএস ইটভাটায় কয়েক হাজার মণ গাছের গুঁড়ি স্তূপ করে রাখা। কাঠ টুকরা করতে পাশেই বসানো হয়েছে অস্থায়ী স’মিল। এ যেন গাছ পোড়ানোর মহোৎসব।

শুধু এই ইটভাটা-ই নয়, জেলার ৭৪টি ইটভাটার বেশির ভাগই এ মৌসুমে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ফলে উজাড় হচ্ছে বন-জঙ্গল, ভারসাম্য হারাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ফলে সাধারণ মানুষের রোগবালাই বেড়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা চায় এলাকাবাসী।

আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। কিছু বললে উল্টো আমাদের ওপর হামলা করে। ফলে কারো নাম বলতেও ভয় পাই। প্রশাসন আসে, তারা টাকা-পয়সা নিয়ে আর কিছু করে না। তাই আমরাও অনেক সময় মুখ খুলি না। আগামী দিনে এমন চললে কিছু করার থাকবে না।’

ভাটার এমএমএস ইটভাটার মালিক হেদায়েত হোসেন বলেন, ‘চলতি বছরে প্রতি টন কয়লা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা। এ ছাড়া ডিপো থেকে ভাটা পর্যন্ত কয়লা আনতে ট্রাকে ভাড়া লাগছে টনপ্রতি ২ হাজার টাকা। অন্যদিকে এক টন কাঠের দাম প্রায় ৮ হাজার টাকা। কয়লার তুলনায় কাঠ পোড়ালে প্রায় চার গুণ বেশি লাভ হয়। তাই অনেক ভাটায় কয়লার পরিবর্তে গাছ পোড়ানো হয়।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অন্যতম পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব নেচারের নির্বাহী পরিচালক রাজন মাহমুদ বলেন, ‘ইটের ভাটায় কাঠ ব্যবহার করলে বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে মিশে। অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। অচিরেই কাঠ পোড়ানো বন্ধ না হলে পরিবেশ মারাত্মক হুমকিতে পড়বে। তাই যারা কাঠ পোড়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনোভাবেই কাউকে ছাড় দেয়া উচিত নয়। প্রয়োজনে আমরা বৃহৎ আন্দোলনে নামব।’

জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘কাঠ পোড়ানো ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। কোনো অপশক্তিই রুখতে পারবে না। চলতি মৌসুমে তিনটি ইটভাটায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর