রাজনৈতিক কর্মসূচি ও সভা-সমাবেশকে সংবিধানসম্মত মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে তা লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সভা-সমাবেশের অধিকার আমাদের সংবিধানসম্মত মৌলিক অধিকার। আমরা সরকারকে এ অধিকারের লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন-নির্যাতন থেকে বিরত থাকারও দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে খবরদারি, নাগরিকদের দেহ ও মোবাইল ফোন তল্লাশিসহ পুলিশের বিভিন্ন ধরনের তৎপরতাকে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিদাতারা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ আনু মুহাম্মদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সুব্রত চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও নাসরিন খন্দকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকার কর্মী শারমীন মুরশিদ, শিরিন প হক, নূর খান লিটন, রেহনুমা আহমেদ, আইনজীবী সালমা আলী, হানা সামস আহমেদ, নাসের বখতিয়ার, গবেষক বীণা ডি'কস্টা, সায়দিয়া গুলরুখ ও রোজিনা বেগম।