দুর্দান্ত গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে নতুন প্রজন্মের গেমিং স্মার্টফোন হট-২০এস বাজারে এনেছে ইনফিনিক্স। এই ডিভাইসে শক্তিশালী প্রসেসর, উন্নত রিফ্রেশ রেট, হাইপার ভিশন সমৃদ্ধ গেমিং ডিসপ্লে ছাড়াও এক্সটেন্ডেড র্যাম এবং এক্সপ্যান্ডেবল রমের ব্যবস্থা রয়েছে।
আধুনিক সব ফিচার নিয়ে ১৯ হাজারের নিচে এটিই বাজারের একমাত্র ফোন বলে দাবি করেছে মোবাইলফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি এসব তথ্য জানায়।
ব্যবহারকারীকে মোবাইল দুর্দান্ত গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা দিতে আকর্ষণীয় ডিজাইনের হট ২০এস-এ থাকছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬, ৬৪-বিট অক্টাকোর চিপসেট ফিচারিং সমৃদ্ধ দুটি শক্তিশালী আর্ম করটেক্স-এ৭৬, ছয়টি করটেক্স-এ৫৫ প্রসেসর, যা ২.০৫ গিগাহার্জ পর্যন্ত চলতে পারে।
হ্যান্ডসেটে থাকছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, বেশি সংবেদনশীলতা, স্বচ্ছন্দ ব্রাউজিং এবং দ্রুত গেমিং কন্ট্রোল। ৮৪.৩ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও এবং আল্ট্রা-ন্যারো ব্যাজেলের ফোনটি পরিপূর্ণ ভিজ্যুয়াল এন্টারটেইনমেন্টের অভিজ্ঞতা দেবে বলে দাবি করছে ইনফিনিক্স।
নতুন সেটটিতে আরও থাকছে ২৪০ হার্জ আল্ট্রা টাচ স্যামপ্লিং রেটসম্বৃদ্ধ আল্ট্রা টাচ মোড। সরাসরি সূর্যের আলো ও প্রতিকূল পরিবেশে স্ক্রিন দেখার সুবিধা তৈরিতে এআই রেজুলেশন অ্যালগরিদমের সঙ্গে ডার্ক রিজিয়ন অ্যানহ্যান্সমেন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
ফোনটিতে আরও আছে ৬.৭৮ ইঞ্চি এফএইচডি+হাইপার ভিশন ডিসপ্লে। হাইপার ভিশন থ্রিডি ডিসপ্লে প্রযুক্তি সর্বোচ্চ রেজুলেশনসহ অত্যাধুনিক হলোগ্রাফিক ইমেজ তৈরি করে, চমৎকার গেমিং এক্সপেরিয়েন্সের সঙ্গে এটি দেবে পরিষ্কার গেমিং স্ক্রিন।
হ্যান্ডসেটটিতে আছে ১৩ জিবি (৮ জিবি+৫ জিবি) এক্সটেন্ডেড র্যাম এবং ১২৮ জিবি রম, যা ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। অ্যাডভান্সড এক্সটেন্ডেড এলপিডিডিআরফোরএক্স হাইস্পিড র্যাম প্রযুক্তির কারণে হট-২০এস নির্বিঘ্নে ২০টি ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ পরিবর্তন করতে পারে। এর ৬১ শতাংশ দ্রুত অ্যাপ স্টার্টআপের কারণে গেমিংয়ের সময় আর স্মার্টফোন ফ্রিজ হবে না।
দীর্ঘ সময় গেম চললেও ফোন যাতে গরম হওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা পায় সেজন্য অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে তাপ পরিবাহিতা উন্নত করা হয়েছে। ফলে স্মার্টফোনটি ঠাণ্ডা থাকে। মোবাইল ফোনটি ডার্ক-লিংক ২.০ শুধু ইমেজের স্থায়িত্ব ও টাচ কন্ট্রোল সংবেদনশীলতাই বাড়ায় না, একইসঙ্গে আরও পাওয়ার-প্যাকড গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য ডিভাইসের তাপমাত্রাও কমায়। ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের সাহায্যে ফোনটির ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারিকে খুব দ্রুত চার্জ দেয়া যায়। পাওয়ার সেভিং প্রযুক্তি ছাড়াও ব্যাটারিতে আছে তিন দিনের ব্যাটারি লাইফ। পাওয়ার ম্যারাথন প্রযুক্তির পাশাপাশি, ১৮ ওয়াট চার্জারটির জন্য টাইপ-সি ফাস্ট চার্জিং কেবল ব্যবহার করা হয়েছে।
৩৯৬ পিক্সেলস পার ইঞ্চির (পিপিআই) সঙ্গে ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ইউনিট এটিকে অনেক হ্যান্ডসেটের চেয়েই একধাপ এগিয়ে রাখবে। এই হ্যান্ডসেটে আছে এফ ১.৬ অ্যাপারচার, যা মানসম্পন্ন ছবি তুলতে সাহায্য করে। এতে আরও আছে ৫০ মেগাপিক্সেল সুপার নাইটস্কেপ ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল সুপার ম্যাক্রো ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
এতে ছবি তোলা অনেক আনন্দময় অভিজ্ঞতা দেবে বলে জানিয়েছে ইনফিনিক্স। এর আই-ট্র্যাকিং ফোকাসের কারণে পোট্রেট মোডে ছবি তুললে ছবির বিস্তারিত খুব ভালো বোঝা যায়।সনিক ব্ল্যাক ও টেম্পো ব্লু--এই দুই রঙে ফোনটি পাওয়া যাবে ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকায়। এই দামের মধ্যে শুধু হট-২০এস-ই দিচ্ছে এমন পাওয়ার-প্যাকড সব ফিচার।