বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিভির লাইভ চলাকালে মাইক্রোফোন কেড়ে নিল পুলিশ

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৪৬

রোববার নাগরিক টিভির দুপুরের বুলেটিনে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। ওই সময় এক পুলিশ সদস্য সাংবাদিকের মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। তিনি ওই সাংবাদিককে পুলিশ বক্সে আটকে রাখার চেষ্টা করেন এবং তাকে উদ্দেশ করে আপত্তিকর কথা বলেন।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাগরিক টিভির সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে সাংবাদিককে বাধা দিয়েছেন পুলিশের এক সদস্য। তিনি সাংবাদিকের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন।

রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সীমানা প্রাচীরের বাইরের ফুটপাতে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় নাগরিক টিভির দুপুরের বুলেটিনে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল।

পুলিশি বাধার পুরো ঘটনাটিও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ওই পুলিশ সদস্য জবরদস্তি সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে সাংবাদিককে পুলিশ বক্সে আটকে রাখার চেষ্টা করেন এবং তাকে উদ্দেশ করে আপত্তিকর কথা বলেন।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নাগরিক টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাইদ আরমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ (রোববার) বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করার ঘটনাটি কাভার করতে অন্যান্য গণমাধ্যমের সঙ্গে আমিও সংসদ ভবনের বাইরে ছিলাম। আমরা সকাল থেকে সংবাদ কাভার ও একাধিকবার লাইভ করেছি। তখন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আমাদের কাউকেই বাধা দেননি।

‘দুপুরে অন্য সব গণমাধ্যমকর্মী চলে গেলেও অফিসের নির্দেশনায় বেলা ২টার সংবাদে লাইভ করার জন্য আমাকে সেখানে অবস্থান করতে হয়। একই সময়ে আবার সংসদের গেটের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যদের শিফট পরিবর্তন হয় এবং নতুন পুলিশ সদস্যরা ডিউটিতে আসেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি লাইভ শুরু করতেই শাহীন নামের ওই কনস্টেবল আমার দিকে তেড়ে আসেন। একপর্যায়ে লাইভ বন্ধ করতে তিনি আমার হাতে ধরা মাইক্রোফোন কেড়ে নেন এবং ক্যামেরাতেও হাত দেয়ার চেষ্টা করেন। আমি তাকে বার বার বুঝিয়ে বলতে চাইলেও তিনি কোনো কথা শোনেননি।

‘এরপর আমাকে পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে সাংবাদিকতা নিয়ে কিছু আপত্তিকর কথাও বলেন ওই কনস্টেবল। বিষয়টি অফিসকে জানালে তারা সংসদকে জানান। এরপর আমাকে সেখান থেকে আসতে দেয়া হয়।’

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে নাগরিক টিভির পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা ফুটেজটি দেখব। এরপর কোনো পদক্ষেপ প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে আগামীকাল (সোমবার) সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়া ও সরাসরি সম্প্রচারে বাধা দেয়ার মতো ঘটনা স্পষ্টত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাদান। পুলিশ সদস্যদের এমনটা করার কোনো সুযোগ নেই৷ বাহিনীর পক্ষ থেকেও কখনো এসব করার অনুমতি নেই। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করার পর বলা যাবে ঠিক কী ঘটেছিল।’

জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে থেকে ছবি তোলা বা সরাসরি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে গুরুত্বপূর্ন স্থান হওয়ায় অবশ্যই ছবি তোলা বা সরাসরি সম্প্রচারের আগে সংসদ সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে।’

ডিআরইউ'র নিন্দা, প্রতিবাদ

এদিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য সাইদ আরমানকে পুলিশ সদস্য হেনস্থা করার এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিআরইউ।

সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সাইদ আরমান তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে যেভাবে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে এটা ন্যক্কারজনক। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়।’

ঘটনার তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ডিআরইউ নেতারা। একইসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানায় ডিআরইউ।

এ বিভাগের আরো খবর