আবাসন প্রকল্পে পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্তগুলো যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা তদারকির নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদেশে বলা হয়, পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে শর্তগুলো যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কিনা তা তদারকি করবে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আবেদন নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ রোববার এ আদেশ দেয়।
আদালতে বেলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী আর রয়েল হোমস লিমিটেড এর পক্ষে ছিলেন ড. মাহবুব মোর্শেদ।
আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী জানান, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুরি, ভারেরা, মেদী ও লোহাজুরি নামক বিল ভরাট করে সেখানে রয়েল হোমস লিমিটেডের রয়েল সিটি ও দক্ষিণ সুরমা সিটি লিমিটেডের সোনারগাঁ আবাসিক এলাকা নামের প্রকল্প গড়ে তোলার বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে একটি মামলা করে বেলা।
মামলার শুনানী শেষে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয়। রায়ে আবাসন কোম্পানীগুলোকে পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে পরিবেশ অধিদপ্তরের চাওয়া সব তথ্য দিতে ও শর্ত পূরণ করতে নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে আবাসন কোম্পানীগুলো যাতে যথাযথ অনুমোদন পায় সে বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বেলা।
ওই আপিলের চূড়ান্ত শুনানী শেষে আপিল বিভাগ রোববার আদেশ দিয়েছে।
আইনজীবী বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্রের অন্যতম শর্ত হলো প্রকল্পটির মাধ্যমে কোনও প্রকার জলাভূমি ভরাট করা যাবেনা।
মামলা থেকে জানা যায়, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলাধীন ৪নং কুচাই ইউনিয়নের বিশাল এলাকা জুড়ে একটি প্রাকৃতিক জলাভূমি আছে যা ‘কাউয়ার হাওর’ নামে পরিচিত। এই হাওরের বিভিন্ন মৌজায় ও দাগে বিশাল এলাকা জুড়ে কুরি, ভারেরা মেদী ও লোহাজুরি নামের ৪টি বিল আছে। এখানে আবাসন প্রকল্প করতে অবস্থানগত ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেয়া হয়নি।