বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংসদে এলো বা না থাকল তাতে কিছু যায় আসে না।
'এই সাতজন এমপি না থাকলেও তাতে কোনো এক বছরে দেশ ভেঙে পড়বে না, আকাশ ভেঙে পড়বে না। তাদের যদি সুমতি না হয়, তারা যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের কীভাবে সহযোগিতা করব? তাই বলা চলে যথানিয়মে সংসদ চলবে।’
রোববার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভা ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৮ নির্বাচনের আগপর্যন্ত তারা নির্বাচনে ছিল না, এটা দুঃখজনক। আমরা সব সময় চাই একটি দেশের রাজনীতির স্বার্থে সক্রিয় বিরোধী দল থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কেউ যদি না থাকে, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।’
আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আরও বলেন, ‘সংসদে জাতীয় পার্টি রয়েছে, ওয়ার্কার্স পার্টি রয়েছে। জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকায় রয়েছে। কিন্তু বিরোধী দল তো বিএনপি না, বিরোধী দলের নেতা হলেন রওশন এরশাদ এবং উপনেতা জি এম কাদের। তাই বিএনপির সাত সংসদ সদস্য না এলেও সংসদ চলবে, সমস্যা হবে না।’
বিএনপির আন্দোলন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা শুধু ভাঙা রেকর্ড চালায়- যে সরকার পতন করবে। তারা ৮ থেকে ১০ বছর এই রেকর্ড বাজিয়ে আসছে। তাদের একটাই দাবি- তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। শেখ হাসিনা সরকারকে তারা চায় না।
'কিন্তু আমি বিএনপিকে বলতে চাই এই দেশে শেখ হাসিনা সরকারের সময়েই নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে, নির্বাচন হবে। বিএনপি কী চাইল, না চাইল সেই অনুযায়ী চলবে না।’
আলোচনা সভায় টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এদিকে দেশব্যাপী গণসমাবেশের অংশ হিসেবে ঢাকার সমাবেশের আগে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজন প্রাণ হারান। বিএনপি তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে। সর্বশেষ শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।