বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী: প্রিন্স

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:৩৯

বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দপ্তরের চারটি মনিটর, দুটি ল্যাপটপ এবং জরুরি কাগজপত্র পুলিশ নিয়ে গেছে। অফিসে কিছু টাকা-পয়সা ছিল। তাও পুলিশ নিয়ে গেছে।’

বিএনপি কার্যালয়ে অভিযানের নামে পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। অভিযানের নামে সেদিন তারা আমাদের অফিসে তাণ্ডব চালিয়েছে, এটা অমানবিক।

এখানে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতি ও লুটপাট হওয়া জিনিসপত্রের তালিকা হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের তালিকা করতে বলেছি।’

রোববার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসার পর এমরান সালেহ প্রিন্স এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী সদস্য সাত্তার পাটোয়ারীসহ নেতা-কর্মীরা।

পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান প্রিন্স।

রবিবার দুপুর ১টার কিছু সময় পর আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন প্রিন্স। এর আগে সেখানে জড়ো হন শতাধিক নেতা-কর্মী।

দেড়টার পরে সাংবাদিক, আইনজীবী ও দপ্তরের কিছু নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা খোলেন তিনি।

ছয় তলা ভবনের প্রতিটি তলায় রয়েছে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের অফিস। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে দেখান কী অবস্থায় আছে অফিসগুলো।

কার্যালয় খুলে দেয়ার পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র ঠিক করার চেষ্টা করেন।

কার্যালয় খুলে দেয়ার পর দপ্তরের দায়িত্ব পালনকারী বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দপ্তরের চারটি মনিটর এবং জরুরি কাগজপত্র পুলিশ নিয়ে গেছে। অনেক খুঁজলাম, পেলাম না। সারা দেশের দলীয় কর্মীদের যে বায়োডাটা ছিল, সেটিও পুলিশ নিয়ে গেছে।

অফিসে কিছু টাকা-পয়সা ছিল। তাও পুলিশ নিয়ে গেছে।’

দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ দুটি ল্যাপটপও পুলিশ নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

আবদুস সাত্তার আরও বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে যে সিসি ক্যামেরা ছিল, পুলিশ সব খুলে নিয়ে গেছে। আর পুরো অফিস লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছেন। এটা তো দেখতেই পাচ্ছেন।’

এর আগে বেলা ১১টার পর নয়াপল্টনের দুই পাশের রাস্তার ব্যারিকেড তুলে নেয় পুলিশ, যাতে শুরু হয় যান চলাচল।

দলীয় কার্যালয় খুলে দেয়ার সংবাদে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা।

সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ‍উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিএনপির কর্মীরা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিসে আসতে পারবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। তাদের সহযোগিতা করা হবে।

শনিবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন দলটির নেতা-কর্মীরা, যাদের কাছাকাছি ছিলেন পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য।

পরে পুলিশ সড়কে সমবেত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এতে মকবুল হোসেন নামের একজন প্রাণ হারান। তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।

সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দলটির অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে চাল, খিচুড়ি, ১৫টি ককটেলের পাশাপাশি বোতলজাত পানি ও টাকা উদ্ধারের কথা জানায় বাহিনীটি।

পুলিশ শুরুতে নয়াপল্টন এলাকা থেকে বিএনপির ৩০০ নেতা-কর্মীকে আটকের কথা বললেও দলটির দাবি, সংখ্যাটি ছয় শতাধিক।

সংঘর্ষের খবরে বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে এসে ঢুকতে না পেরে ফুটপাতে বসে কয়েক ঘণ্টা পর চলে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

পরের দিন সকালে বিচারিক আদালতে নাশকতার মামলায় হাজিরা দিয়ে বিজয়নগর হয়ে নয়াপল্টন যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তিনি।

সংঘর্ষের পর ক্রাইম সিন ঘোষণা করা কার্যালয়টিকে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর