হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারককে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ পাঁচ বিচারকের আপিল বিভাগের এক নম্বর কোর্টে রোববার তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির সংবর্ধনা জানান তিন বিচারক আশফাকুল ইসলাম, আবু জাফর সিদ্দিকী ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে। ওই সময় আইনজীবীসহ আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারককে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
ওই দিনই বিকালে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি।
আশফাকুল ইসলাম
মো. আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, চেক রিপাবলিক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। এ ছাড়া ২০১১ সালে তিনি কোরিয়াতে জুডিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশ নেন।
আশফাকুল ইসলামের বাবা সাবেক উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম।
আবু জাফর সিদ্দিকী
বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৫ সালে জেলা আদালত এবং ১৯৯৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক এবং দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি ভারত, সাউথ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ সফর করেন। এ ছাড়া তিনি ২০১১ সালে তিনি কোরিয়াতে জুডিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশ নেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন
জাহাঙ্গীর হোসেন এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালের ৩১ অক্টোবর জেলা আদালতে এবং ১৯৯১ সালের ৩১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক এবং দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও মালয়েশিয়া সফর করেন।
নতুন এ তিন বিচারক নিয়োগের ফলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বর্তমান বিচারকের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে। একজন বিচারক দীর্ঘদিন ধরে ছুটিতে রয়েছেন।