অসাংবিধানিক পন্থায় বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চাইলে গণদুশমনে পরিণত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, গণবিরোধী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে একসময় দলটির অস্তিত্বসংকট দেখা দিতে পারে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, জিয়াউর রহমান রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধী মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়াকে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী করেছেন জিয়া।
তিনি আরও বলেন, ‘জয়পুরহাটের নরখাদক আবদুল আলিমকেও মন্ত্রী করেছেন তিনি। জিয়া কী করেন নাই বাংলাদেশে? ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল করার সুযোগ করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে উল্টে দেয়ার প্রক্রিয়া, কুশীলব শুধু নয়; সমস্ত নাটের গুরু জিয়াউর রহমান।’
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ দুটি শব্দ অবিচ্ছেদ্য জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কথা বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বলা যাবে না। বিজয়ের মাসে পরাজিতরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়।’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটা পেট্রলের বার্ন ইউনিটে পরিচালিত করেছিল এই বিএনপি-জামায়াত। ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার নামে তারা সার দেশে পাঁচ হাজারের ঊর্ধ্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছিল।’
বিএনপির উদ্দেশে এ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অসাংবিধানিক পন্থায় এগোলে গণদুশমনে পরিণত হতে পারেন। জনবিপরীতমুখী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে একসময়ে আপনাদের অস্ত্বিত্বের সংকট দেখা দিতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর বাংলাদেশের মানুষ আস্থা রাখেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা থাকলে আমার অধিকার নিশ্চিত হয়। স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা ও বাসস্থান নিশ্চিত হয়।’
অনুষ্ঠানে তিন রত্নগর্ভাকে সম্মাননা দেয়া হয়। তারা হলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের মা অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম, নাট্যজন লাকী ইনাম ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
ভোরের আকাশের সম্পাদক মনোরঞ্জন ঘোষালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।