বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এসএম সাইফুল ইসলাম কবির নামে এক সাংবাদিককে মারধর করেছেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-বগি আঞ্চলিক মহাসড়কের মাঝিবাড়ি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিএনপির সমাবেশে যেতে বাঁধা দেয়ার জন্য সেখানে চেকপোস্ট স্থাপন করেছিলেন স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় সাংবাদিক কবির ছাড়াও তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী সাথী ইসলাম, বড় ভাই আব্দুল রব ফকির ও অটোচালক অহিদুলকেও মারধর করা হয়।
মারধরের শিকার কবির দৈনিক অবজারভার পত্রিকার মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলার ভাইজোড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কবির বলেন, ‘পারিবারিক কাজ সেরে অটোতে করে স্ত্রী ও বড় ভাইকে নিয়ে মোংলা থেকে ফিরছিলাম। পথে মাঝিবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন সুমনের নেতৃত্বে আমাদের অটো আটকে দেয়া হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও সুমনসহ আরও কয়েকজন আমাকেসহ আমার স্ত্রী, বড় ভাই ও অটোচালককেও মারধর করে তারা।’
কবিরের স্ত্রী সাথী ইসলাম বলেন, ‘কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমার স্বামীকে ওরা অটো থেকে টেনে বের করে নেয়ার চেষ্টা করে। আমি অনেক কষ্টে ধরে রেখেছি। আমরা তো আওয়ামী পরিবার। আমাদের কি দোষ যে, পথে ঘাটে মার খেতে হবে!’
মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে যুবলীগ নেতা সাব্বির হোসেন সুমন বলেন, ‘একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এজন্য আমি এবং চেকপোস্টে থাকা কয়েকজন সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।’
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, ‘মারধরের ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেব।’