নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিনকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি খড়মপুর গ্রামের মৃত মোজাফফরের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খেলুন সরদার বলেন, গত বুধবার বিদ্যালয় চলাকালে আনোয়ার বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা দেখার জন্য বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর দাবি করেন। তবে সরকারি সম্পদ দিতে অপারগতা জানালে তিনি দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আনোয়ার অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চারজনকে নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে আমার খোঁজ করে। পরে আমাকে না পেয়ে বিদ্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এ সময় বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে সহকারী শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে নারী শিক্ষকের চিৎকারে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলায় প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ‘খেলা দেখার জন্য প্রজেক্টর না পেয়ে বৃহস্পতিবার খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হামলা এবং এক নারী শিক্ষককে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার মামলা করেন হামলার শিকার শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পরে আনোয়ারকে বিকেল সাড়ে ৪টায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।