রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মা-বাবা। এ ঘটনায় পরে অভিযুক্ত মঞ্জু চাকমাকে ধরতে গেলে তার কোপে নিহত হয়েছেন স্থানীয় সরল চাকমা।
এ সময় উত্তেজিত এলাকাবাসীর পিটুনিতে মঞ্জু চাকমাও নিহত হন।
শনিবার বিকেলে উপজেলার ৩০ নম্বর সারোয়াতলী ইউনিয়নের শিজক গলাচিপা এলাকায় সরল ও মঞ্জু নিহত হন।
এর আগে শুক্রবার রাতে মা-বাবাকে জখম করেছিলেন মঞ্জু। তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন শিজক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুবাস কুসুম চাকমা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিলেন মঞ্জু চাকমা। মাঝেমধ্যে তার এ রোগ বেড়ে যেত।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মঞ্জুর রোগ বেড়ে গেলে তার মা কালোচুলি চাকমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেন। এ সময় স্ত্রীকে বাঁচাতে রত্ন কুমার চাকমা এগিয়ে এলে তাকেও মারাত্মকভাবে জখম করেন মঞ্জু।
এ ঘটনার পরদিন শনিবার বিকেলে মঞ্জু চাকমা পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করতে যান স্থানীয় সরল চাকমা। এ সময় তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেন মঞ্জু। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সরল।
এ অবস্থায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে মঞ্জু চাকমাকেও সংঘবদ্ধভাবে মারধর শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মঞ্জু।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুবাস কুসুম চাকমা বলেন, ‘মঞ্জু চাকমার মা-বাবা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থল পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেছে।’
বাঘাইছড়ি থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। সেখান থেকে ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।’