বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনেকে না জেনেই মানবাধিকারের ছবক দেন: আইনমন্ত্রী

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:৩২

আনিসুল হক বলেন, ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের অনেক বড় বড় অর্জন সত্ত্বেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ কেউ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করার হীন চেষ্টা করছেন।’

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কি না তা জানার আগেই আজকাল অনেকে আমাদেরকে মানবাধিকার সম্পর্কে ছবক দিচ্ছেন। কিন্তু ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ২১ আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলেও কেউ টু শব্দটিও করেনি।’

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সুরক্ষা ও উন্নয়নে বর্তমান সরকার সর্বতোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠছে, সেখানেই সরকার ত্বরিত ব্যবস্থা নিচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার।

তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের অনেক বড় বড় অর্জন সত্ত্বেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ কেউ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করার হীন চেষ্টা করছেন।

‘বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদ ও সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ২০ অনুচ্ছেদে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকারের কথা বলা আছে। কিন্তু মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এ দুটি অনন্য দলিলের কোথাও বলা নেই যে রাস্তাঘাট বন্ধ করে, জনসাধারণের চলাচলের পথ রুন্ধ করে সভা-সমাবেশ করা যাবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন খুনি এখনও কয়েকটি বড় দেশের আশ্রয়ে আছে। তাদেরকে ফিরিয়ে আনা অনেকটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

স্বল্প সময়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এশিয়া প্যাসিফিক ফোরামের সদস্য পদ লাভ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে ‘বি’ ক্যাটাগরির স্ট্যাটাস অর্জন করেছে।”

দেশে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার পাশাপাশি সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

সরকারের সুনীতি ও দৃঢ় অবস্থানের কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বড় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। দেশ থেকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হয়েছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর