বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুরান ঢাকায় ফাঁকা রাস্তাঘাট, দোকানপাটও বন্ধ

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:৫৮

সদরঘাট থেকে চলাচলকারী সাভার পরিবহনের লাইনম্যান মইনুল হোসেন বলেন, ‘আজ যাত্রী নেই। তাই তেমন বাস চলছে না। কাউন্টার থেকে সকাল থেকে মাত্র দুইটি বাস ছেড়ে গেছে।’

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরান ঢাকার রাস্তা প্রায় ফাঁকা। সড়কে তেমন যানবাহন নেই, নেই পথচারীও। বন্ধ রয়েছে দোকানপাটও।

শনিবার সকাল থেকেই পুরান ঢাকায় অনেকটা সুনসান পরিস্থিতি দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

পুরান ঢাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার আশপাশের রাস্তায় মাঝেমধ্যে চলছে দুয়েকটা বাস, মোটরসাইকেল কিংবা রিকশা। মানুষজনের চলাচলও চোখে পড়ার মতো নয়। অল্প কিছু খাবারের দোকান ছাড়া বাকি দোকানপাট বন্ধ।

আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। তবে যারা বের হচ্ছেন যানবাহনের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

এদিকে যাত্রী না থাকায় বাস চলছে না বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

পুরান ঢাকায় বন্ধ দোকানপাট। ছবি: নিউজবাংলা

হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছেন আবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যাব। বাইরে এসে দেখি তেমন গাড়ি চলছে না। রিকশাও খুব একটা চোখে পড়ছে না। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও রিকশা পাচ্ছি না।’

আরেক যাত্রী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাস তো পাচ্ছিই না রিকশা পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে। আমাদের মতো চাকরিজীবীরা কীভাবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করবে?’

সদরঘাট থেকে চলাচলকারী সাভার পরিবহনের লাইনম্যান মইনুল হোসেন বলেন, ‘আজ যাত্রী নেই। তাই তেমন বাস চলছে না। কাউন্টার থেকে সকাল থেকে মাত্র দুইটি বাস ছেড়ে গেছে।’

এদিকে খাবারের দোকান ব্যাতীত অন্য কোনো দোকানপাট খোলা হয়নি। অনেকটা আতঙ্কে দোকান খুলেননি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। কিছু ব্যবসায়ী দোকানের সামনে এসে অপেক্ষা করলেও দোকান খুলবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের দোকানগুলোও বন্ধ রয়েছে। পাটুয়াটুলিতে চশমা ও ঘড়ির মার্কেটে অল্প কিছু দোকান খোলা হলেও বেশিরভাগই বন্ধ। পাইকারি কাপড়ের মার্কেটেও একই অবস্থা। ফুটপাতেও নেই হকারদের কোনো দোকান।

সদরঘাটের গ্রেটওয়াল মার্কেটের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরে মানুষজনই নেই, দোকান খুলেই বা কী করব। ক্রেতা না হলে তো আর দোকান খুলে কোনো লাভ নেই।'

এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছি। পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে দোকান খোলা রাখা বা না রাখা ব্যবসায়ীদের নিজেদের ব্যাপার। তবে আমরা আশ্বস্ত করেছি কোনো সমস্যা হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর