নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশেও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে। দলের কর্মীদের হাতে ধরা পড়ার পর সন্দেহভাজন দুইজনকে পেটানোও হয়েছে।
পিটুনিতে একজনের মাথা ফেটেছে, রক্তাক্ত হয়েছে আরেকজনের মুখ। তাদের একজনের নাম মো. মুরাদ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে যাদের পেটানো হয়েছে, তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মুরাদ বলেন, ‘আমি মোবাইল চুরি করি নাই। আমাকে বিনা কারণে তারা মারছে।’
শনিবারের এই সমাবেশ ঘিরে আগের দিনের বিকেল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা আসতে থাকেন সভাস্থলে। রাতের মধ্যে মাঠ অনেকটাই ভরে যায়। সকাল হতেই বাড়ে মিছিল, বাড়ে ভিড়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলার কথা জানাতে থাকেন।
১০ জনের মতো বিএনপির নেতা-কর্মী নিউজবাংলার কাছে তাদের মোবাইল ফোন হারানোর কথা জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভুক্তভোগীর সংখা আরও অনেক।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয়ধারী মো. জহির বলেন, ‘অনেকের মোবাইল হারিয়েছে আজ। তারা (পকেটমার) সমাবেশে ঢোকার পথে দাঁড়িয়ে থাকে। সুযোগ বুঝে মোবাইল, টাকা পকেট মেরে দিয়ে তাদের দলের অন্য একজনের কাছে দিয়ে দেয়।
‘মুরাদকে অনেকবার বলেছি মোবাইল দিয়ে দাও। বিনিময়ে টাকা নাও। সে স্বীকারই করে না। পরে ছেড়ে দিয়েছি।’
ছাত্রদল কর্মী মো. হেলাল বলেন, ‘আমার মোবাইলে বিকাশে ৬০ হাজার টাকা ছিল, অনেক ডকুমেন্টস ছিল। সমাবেশে ঢোকার সময় পকেট মেরে নিয়ে গেছে।’
গত ২৬ নভেম্বর বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশের দিনও মোবাইল ফোন হারানোর অভিযোগ আসতে থাকে। সমাবেশ শেষে সংখ্যাটি দাঁড়ায় দুই শতে। যারা ফোন হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানাও। এখনও সেই ফোন উদ্ধার হয়নি।