বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যাত্রী-সংকটে আজও সদরঘাটে লঞ্চ চলাচলে ভাটা

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:৪৪

আজ দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুট থেকে ঢাকায় এসেছে মাত্র ৫টি লঞ্চ। এর মধ্যে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে দুটি, বরিশাল-ঢাকা রুটের ১টি, ঢাকা-ভোলা রুটের ১টি, হাতিয়া-ঢাকা রুটের ১ একটি মাত্র লঞ্চ সদরঘাটে নোঙর করেছে।

রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে শনিবারও স্বল্পসংখ্যক লঞ্চ চলাচল করছে। ঘাটে যাত্রী-সংকটের কারণ দেখিয়ে চলাচল করছে না লঞ্চ। এদিকে ঘাটে দেখা মেলেনি যাত্রীর।

চলমান বিএনপির ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে লঞ্চ বন্ধ রাখার গুঞ্জন উঠলেও যাত্রী-সংকটের কারণে অপেক্ষাকৃত কম লঞ্চ চলছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক নেতারা ও নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।

আজ দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুট থেকে ঢাকায় এসেছে মাত্র ৫টি লঞ্চ। এর মধ্যে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে দুটি, বরিশাল-ঢাকা রুটের ১টি, ঢাকা-ভোলা রুটের ১টি, হাতিয়া-ঢাকা রুটের ১ একটি মাত্র লঞ্চ সদরঘাটে নোঙর করেছে। বরগুনা থেকে ঢাকায় একটি লঞ্চও আসেনি। যেখানে প্রতিদিন এসব রুটে ৩-৪টি লঞ্চ চলাচল করে। কোনো লঞ্চেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রী নেই।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নেই কোনো ব্যস্ততা। আগে এই সময়ে সকালে ছেড়ে যাওয়া দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলোর জন্য সদরঘাটে যাত্রীর উপস্থিতি থাকলেও আজ তা চোখে পড়েনি। ঢাকা থেকে চাঁদপুর রুটে প্রতি ঘণ্টায় একটি করে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ মাত্র একটি লঞ্চ ছেড়েছে। তাতেও ছিল অল্প কয়েকজন যাত্রী।

সদরঘাটের নৌপরিবহন দপ্তর থেকে জানা যায়, শনিবার সকালে বরিশাল, ভোলা ও বরগুনা থেকে মাত্র ৩টি লঞ্চ ঢাকায় এসেছে। সেগুলোতে যাত্রী থাকলেও তা লঞ্চের ধারণক্ষমতার মাত্র ১০-১৫ শতাংশ। যাত্রী কম থাকায় এসব রুট থেকে মাত্র একটি করে লঞ্চ ছেড়ে এসেছে বলে জানান তারা।

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৭০-৭৭টি লঞ্চ ছেড়ে যায় এবং সমানসংখ্যক লঞ্চ আসে। তবে শুক্রবার রাতে ঘাট থেকে মাত্র ৬টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আর আজ সকালে এসেছে মাত্র ৫টি।

লঞ্চসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যাত্রী সংকট থাকলেও মালামাল পরিবহন করে কিছু টাকা আসছে লঞ্চ মালিকদের। সরকার নির্ধারিত ভাড়া থেকেও কম টাকা নেয়া হলেও আশানুরূপ যাত্রীর দেখা মিলছে না। তবে কেবিনের যাত্রী থাকায় মোটামুটি লঞ্চগুলো চালানো সম্ভব হচ্ছে।

বরিশাল থেকে ঢাকায় শনিবার সকালে পারাবত-১১ লঞ্চটি ছেড়ে এসেছে। লঞ্চটির টিকিট বিক্রেতা কাওসার আলম জানান, ‘আজ মাত্র ১০০ যাত্রী নিয়ে এসেছি। যাত্রী না থাকায় এই রুটে একটামাত্র লঞ্চই এসেছে। রাতে ঢাকা থেকে যাত্রী হলে ছেড়ে যাবে। তবে যাত্রী না থাকায় এখন পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়নি।’

যাত্রী সংকটের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকে ভয়েই যাতায়াত করছেন না। বিএনপির সমাবেশের কারণে যাত্রী সংকট, তা নয়। সমাবেশের জন্য যারা ঢাকায় আসার কথা তারা তো আরও অনেক আগেই বিভিন্নভাবে চলে এসেছে। কিন্তু অনেকের মধ্যে সমাবেশ নিয়ে একটা ভয় আছে। সে জন্য ঘাটে যাত্রী আসছে না।'

জানতে চাইলে লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘লঞ্চ চলাচলে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। যাত্রী-সংকট এটা আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। ন্যূনতম যাত্রী ছাড়া কোনো মালিকের পক্ষেই লঞ্চ ছাড়া সম্ভব নয়। একটা ট্রিপ থেকে তেলের খরচও যদি না উঠে, তাহলে তো হচ্ছে না। যাত্রী কেন নেই তার অনেক কারণ, তবে এখানে মুখ্য বিষয় যাত্রী সংকট।’

বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, ‘লঞ্চ বন্ধে তো আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। মালিকরা জানিয়েছেন, যাত্রী সংকটে লঞ্চ ছাড়তে পারবেন না। এ ব্যাপারে তো আমরা তাদের জোর করতে পারি না।'

সদরঘাট নৌ পুলিশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের টিম ঘাটে ও নদীতে উভয় জায়গায় অবস্থান করছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সাদা পোশাকেও আমাদের ফোর্স নিয়োজিত আছে। আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর