বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোলাপবাগের কাছে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিএনপির ধাওয়া

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:৩২

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে বিএনপিকে সতর্ক করে স্লোগান দিতে থাকা আওয়ামী লীগের মিছিল এবং আওয়ামী লীগের পতনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকা বিএনপির মিছিলটি কাছাকাছি চলে আসে। বিএনপির মিছিলে কর্মীসংখ্যা ছিলেন তুলনামূলক বেশি। তারা ধাওয়া দেন ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের।

রাজধানীর গোলাপবাগে জনসভাস্থল থেকে আনুমানিক তিন কিলোমিটার দূরে মিছিল করতে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে সেখানে কোনো গোলযোগ হয়নি। সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাও বাঁশি বাজিয়ে চলে যান।

বিএনপির এই কর্মসূচির দিন রাজপথে সক্রিয় থাকার ঘোষণা দেয়া ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল করছেন। বড় জমায়েত না হলেও অলিগলি মিলিয়ে দলের বিপুলসংখ্যক কর্মীকেই দেখা যাচ্ছে রাজপথে।

এমন একটি মিছিল হচ্ছিল মুগদা হাসপাতালের সামনে, যে পথ দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও মিছিল করে যাচ্ছিলেন তাদের সমাবেশস্থলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে বিএনপিকে সতর্ক করে স্লোগান দিতে থাকা আওয়ামী লীগের মিছিল এবং আওয়ামী লীগের পতনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকা বিএনপির মিছিলটি কাছাকাছি চলে আসে। বিএনপির মিছিলে কর্মীসংখ্যা ছিলেন তুলনামূলক বেশি। তারা ধাওয়া দেন ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের।

ঘটনাস্থলে ছিল পুলিশের একটি দল। তবে দুই পক্ষে উত্তেজনা সংঘাতে রূপ নেয়ার শঙ্কা না দেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মীরা অনেকটাই নিষ্ক্রিয় থাকেন। তারা কেবল বাঁশি বাজাতে থাকেন।

সমাবেশস্থল রেখে এত দূর এলেন কেন, এমন প্রশ্নে বিএনপির এক কর্মী বলেন, ‘আমাদের কাছে ফোন আসে যে আমাদের নেতা-কর্মীদের এইখানে বাধা দেয়া হচ্ছে। তখন আমরা চলে আসি।’

শাহজাদপুর থেকে ডান দিকের লিংক রোডেও দেখা যায় একই অবস্থা। সেখানেও বাধার খবর পেয়ে বিএনপির কর্মীরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। তবে আওয়ামী লীগের কর্মীদের কোনো অবস্থান না দেখে তারা চলে আসেন। এরপর ‘ইনফরমেশন রং ছিল’ বলে তাদের এক নেতা সবাইকে নিয়ে ফিরে যান।

এই মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘খবর ছিল এখানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বাইক নিয়ে শোডাউন দিচ্ছে। যেকোনো সময় বিপদ ঘটিয়ে তারা আমাদের ওপর দোষ চাপাবে। তাই এখানে নিজেদের জাহির করলাম।’

বিএনপির কর্মসূচির দিন রাজপথে সক্রিয় দেখা গেছে আওয়ামী লীগকেও। তারাও খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন এলাকায় এলাকায়

গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশের পর থেকে প্রতি শনিবার বিএনপি ধারাবাহিকবাবে দেশের সব কটি বিভাগীয় সমাবেশ করে ঢাকার এই সমাবেশ ঘোষণা করেছে।

এই সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে কথার লড়াই শেষে জনসভার স্থল নিয়ে হয় সংঘাত। বিএনপি সমাবেশটি করতে চেয়েছিল নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায়। কিন্তু সড়কে জমায়েত হতে দেবে না জানিয়ে পুলিশ অনুমতি দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়ার পর বুধবার শুরু হয় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ। প্রাণ হারান একজন। গ্রেপ্তার হন বিএনপির প্রায় ৫০০ নেতা-কর্মী, যাদের মধ্যে আছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও।

নানা নাটকীয়তা শেষে পরে শুক্রবার বিকেলে জনসভাস্থল নির্ধারিত হয় নয়াপল্টন থেকে কিলোমিটার পাঁচেক দূরে সায়েদাবাদ ঘেঁষা গোলাপবাগে।

বিকেল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে থাকেন। তবে পরদিন সকালে ১০টা ২০ মিনিটে জাতীয় সংগীত ও কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জমায়েতটি। সমাবেশস্থল এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ।

তবে এই জমায়েত ঘিরে নগরীর এলাকায় এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল চলছে। কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় নেতারা ছোটখাটো সমাবেশের মতো জমায়েত হয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর