বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষতিপূরণের শর্তে গোলাপবাগে সমাবেশের অনুমতি

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০৬

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, গোলাপবাগ খেলার মাঠের কোনো ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ দেয়ার শর্তে বিএনপিকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

অবকাঠামোগত কোনো ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে- এই শর্তে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোলাপবাগ খেলার মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ সিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছেন।

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এসব নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোলাপবাগ খেলার মাঠের কোনো ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ দেয়ার শর্তে বিএনপিকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সমাবেশস্থল চুড়ান্ত হতেই বিকেল থেকে সেখানে ভিড়তে থাকেন দলের নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে গোলাপবাগের সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা উত্তর মহানগরের আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।

এদিকে, সমাবেশস্থল ও শহর জুড়ে এরইমধ্যে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সাইবার পেট্রলিংও জোরদার করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ওরা নিজেরাই করবে। পুলিশ থাকবে বাইরে। সমাবেশের ভেতরে তো পুলিশ দেয়া হয় না।

‘আমাদের ফোর্স আছে ৩২ হাজার। পুরো ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডেপ্লয়মেন্ট থাকবে। বাইরে থেকে এপিবিএন ও আনসার এসেছে। তারাও দায়িত্ব পালন করবে।’

ডিএমপির পুলিশের পাশাপাশি সমাবেশ ও নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব এবং বিজিবি প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছে ডিএমপি।

ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে শুক্রবার রাতে বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না ঘটে, সে জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এর সঙ্গে সাদা পোশাকে পুলিশ ও ডিবি থাকবে।

‘আমাদের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, সোয়াট টিম প্রস্তুত থাকবে। যদি কোনো ধরণের ঘটনা ঘটে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘এর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক ব্যাটেলিয়ন আনসার আমাদের সঙ্গে ডিউটি করবে। যদি কোনো কারণে ঝামেলা হয়, তাহলে র‌্যাব আমাদের সহায়তা করবে, বিজিবি আমাদের সহায়তা করবে।’

তবে সমাবেশ ঘিরে কোনো সহিংসতার আশঙ্কা করছে না পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ শুক্রবার বিকেলে বলেন, ‘আমাদের যে সিকিউরিটি প্ল্যান, যে সিকিউরিটি প্ল্যান আমরা তৈরি করেছি, আমরা মনে করি না কোনো হামলার পরিকল্পনা আছে। তারপরেও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ আমরা রেখেছি, যাতে দুর্বৃত্তরা কোনো ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে। সেই লক্ষ্যে পোশাকে, সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, তারা কাজ করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর