বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়তপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান এবং যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ উল্লেখ করেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং বহু সংখ্যক নেতা-কর্মীর আহত হওয়া, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তল্লাশি অভিযানের নামে পুলিশের ‘ব্যাপক ভাঙচুরের’ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল শুধু ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে বানচাল করার অপচেষ্টা করছে না, বরং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সীমাহীন দুর্নীতি, সম্প্রতি প্রকাশিত ব্যাংকিং খাতে ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়সহ সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ জনমানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরানোর অপচেষ্টা করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে- সরকার রাজনৈতিক নির্যাতন এবং হামলা-মামলার মাধ্যমে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে কর্তৃত্ববাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করা হয়।
তবে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ এ ধরনের হীন অপেচষ্টা বিনা প্রতিবাদে আর মেনে নেবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, নির্যাতন ও নিপীড়ন করে কখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নস্যাৎ করা যায় না। এ বারও এটি সম্ভব হবে না বলে আমরা মনে করি।
আমরা আশা করি সরকার প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে এবং জনপ্রত্যাশার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অবিলম্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেবে।’
‘পাশাপাশি ১০ ডিসেম্বরের শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশসহ সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার গণতান্ত্রিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করা থেকে বিরত থাকবে।’
অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকে নিতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।