ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের এক দিন আগে নয়াপল্টনে দলের প্রধান কার্যালয় এলাকায় কর্মীরা এলেও দলের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। দলীয় কার্যালয়েও কোনো নেতা আসেননি।
শুক্রবার সকাল থেকে কার্যালয় তালাবন্ধ দেখা যায়। সকাল থেকে পুলিশ কার্যালয়ের সামনে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। তবে এর মধ্যেও বিএনপির কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন।
বিএনপি কার্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী মনসুর আহমেদ সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল থেকে কোনো বিএনপি নেতা আসেননি।’
দুপুরে জুম্মার নামাজের আগে নয়াপল্টনে কার্যালয়ের পাশ থেকে ময়মনসিংহের নান্দাইল ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করে পুলিশ।
সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কটি ছিল পুলিশের তত্ত্বাবধানে। নাইটিংগেল মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড দিয়ে পরিচয়পত্র দেখে ওই সড়কে প্রবেশের অনুমতি দেয় পথচারীদের। এ সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে যারা চলাচল করেছেন, তাদেরকে পরিচয়পত্র দেখাতে হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জুম্মার নামাজের পর নয়াপল্টন এলাকায় আরও কড়াকড়ি অবস্থায় চলে যায় পুলিশ।
সকালে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের তৃণমূল পর্যায়ের কয়েকজন কর্মী নয়াপল্টনে আসেন। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। অনেক কর্মী নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে আসার চেষ্টা করলেও পুলিশের বাধায় তা পারেননি। নাইটিংগেল মোড়ে আটকা পড়েন তারা।
সকাল ১১টায় বিএনপির ১০-১৫ জন কর্মী নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তবে তাদের কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
টঙ্গীর মাজুখান থেকে নয়াপল্টনে আসা বিএনপিকর্মী সোহাগ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি নয়াপল্টনে এসেছি। কিন্তু আপনারা তো দেখছেন, আমাদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না।’
সোহাগ বলেন, ‘আমরা ১৫-২০ জন মিছিল নিয়ে আসার সময় আমাদের সাথে থাকা একজনকে আটক করে। তখন গলিতে ঢুকে গেলে অন্যদের আর ধরতে পারেনি পুলিশ।’
দুপুরের দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফেসবুক লাইভে উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে আব্দুল্লাহ আল রবিন নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহব্বায়ক বলে পুলিশ জানিয়েছে। সাদা পোশাক পরা পুলিশ তাকে আটক করে বাইকে করে পল্টন থানায় নিয়ে যায়। আটক করার পরে রবিনকে যখন বাইকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তিনি জোরে জোরে দুই হাত তুলে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।