বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নয়াপল্টনে নামাজ শেষে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান, ‘জামায়াত’ বলে পুলিশের ধাওয়া

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৫১

নয়াপল্টন জামে মসজিদে নামাজ শেষে অনেকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নিয়ে বিভিন্ন রকম কথা বলতে থাকেন। অনেকে আবার ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দেন। এর একপর্যায়ে ব্যারিকেড সরিয়ে গলির মুখের গেট খুলে পুলিশ ধাওয়া দিলে মুসল্লিরা পালিয়ে যান।

রাজধানীর নয়াপল্টন জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়েছেন কিছু মুসল্লি। ওই সময় তাদের ‘জামায়াত’ বলে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা গলিতে জড়ো হন। তারা গলির মুখে গেট বন্ধ ও ব্যারিকেড দেয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবশ্য সকাল থেকে এই গেট বন্ধ ছিল।

ওই সময় অনেকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নিয়ে বিভিন্ন রকম কথা বলতে থাকেন। অনেকে আবার ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দেন।

এর একপর্যায়ে ব্যারিকেড সরিয়ে গলির মুখের গেট খুলে পুলিশ ধাওয়া দিলে মুসল্লিরা পালিয়ে যান। ওই সময় কাউকে আটক করতে দেখা যায়নি।

পরিস্থিতি শান্ত হলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, মুসল্লিরা অভিযোগ করছেন, তারা নামাজ পড়ে বাসায় যেতে চাইছিলেন। তাদের বাসায় যেতে দেয়া হচ্ছিল না।

ওই বক্তব্যের জবাবে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, “এগুলো মিথ্যা কথা। তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। যারা ধর্মপ্রাণ মুসলমান, যারা আজকে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করছেন, তাদের পুলিশ বাধা দিচ্ছে না; বরঞ্চ সহযোগিতায় রয়েছে, কিন্তু এখানে আপনারা দেখেছেন ৪০/৫০ জন ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। এই স্লোগান কারা দেয়, সেটা বুঝতে হবে। বাংলাদেশের একটি নিষিদ্ধ দল জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এই স্লোগান দেয়া হয়ে থাকে।”

তিনি বলেন, “১০ তারিখের যে সমাবেশ ডাকা হয়েছে, তাদের সঙ্গে জামায়াত ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে তারা আজকে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ বিএনপির স্লোগান নয়; এটি জামায়াতে ইসলামীর স্লোগান। কাজেই জামায়াতে ইসলামী এখানে ঢুকে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। আমরা তাদের ডিসপাচ করে দিয়েছি। এখানে জামায়াতে ইসলামী ছিল।

“সাধারণ মুসল্লিদের ছদ্মবেশে জামায়াত বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশের চেষ্টা করছে, ঝামেলা করার চেষ্টা করছে, আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো অপরাধীকে, কোনো দুষ্কৃতিকারীকে অথবা কোনো নাশকতাকারীকে অথবা কোনো জামায়াত-শিবিরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার অবকাশ নেই।”

গলির প্রবেশপথ বৃহস্পতিবার খুলে দেয়া হলেও শুক্রবার বন্ধ করে দেয়া হলো কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর